অতিবৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ ও সিকিম। ফুঁসছে তিস্তা। সিকিমের পশ্চিমাঞ্চলে ধস নেমে ভেঙে পড়েছে একাধিক বাড়ি। গ্যালশিং জেলার লুনজিক গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের মৃত্যু হয়েছে ধসে চাপা পড়ে। প্রাণ হারিয়েছে চারটি গবাদি পশুও।

ভুটানের পাহাড়ে লাগাতার বৃষ্টি আর ডুয়ার্স জুড়ে রাতভর প্রবল বর্ষণে আরও বেড়েছে বিপর্যয়। আলিপুরদুয়ারের শীলবাড়ি হাট এলাকার সঞ্জয় নদী ফুলে ফেঁপে উঠেছে। বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়ায় বিস্তীর্ণ এলাকা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। যদিও জেলা বিদ্যুৎ দফতরের তৎপরতায় দ্রুত বিদ্যুৎ ফেরানো সম্ভব হয়েছে।

সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা জাতীয় সড়কে। সঞ্জয় নদীর জলে ডুবে ভেসে গেছে অস্থায়ী ডাইভার্সন। ফলে আলিপুরদুয়ার থেকে ফালাকাটার জাতীয় সড়কের যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন। এই অবস্থায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন এসএসসি পরীক্ষার্থীরা। ফালাকাটা থেকে মাত্র দশ কিলোমিটার দূরের শীলবাড়ি হাট পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছতে অনেককেই কোচবিহার ঘুরে প্রায় ৪০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে হয়েছে।

কিন্তু যারা একটু দেরিতে বাড়ি থেকে বেরিয়েছেন, তাঁদের অবস্থা হয়েছে আরও শোচনীয়। অসমাপ্ত সেতুর লোহার রড ধরে ঝুঁকি নিয়ে নদী পার হয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছাতে হয়েছে তাঁদের।

স্থানীয় বাসিন্দা ও পরীক্ষার্থীদের ক্ষোভ এখন জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। তাঁদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত থেকে যাচ্ছে এই সড়ক ও সেতুর কাজ। যার জেরে বারবার চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।

আরও পড়ুন –
