জয়িতা মৌলিক
সময় মতো, সঠিক জায়গায় তেল দিতে পারলে নাকি জীবনের চাকাটা গড়গড় করে চলে। এই ধরনের ‘সুপরামর্শ’ দেন বিজ্ঞজনেরা। তাই বলে কলকাতা পুলিশের দায়িত্বশীল পদে থাকা এক আধিকারিকের এমন কথা! বলবেন, কারণ এখানে তিনি মানিকতলা থানার অফিসার ইন চার্জ নন, তিনি ‘তেল’ নামক শর্ট ফিল্মের পরিচালক। কর্পোরেট জগৎ, সেখানে বসের সঙ্গে কর্মীদের সম্পর্ক এবং কীভাবে তেল দিয়ে সহকর্মীকে সরিয়ে উন্নতি- এই সব নিয়েই দেবাশিস দত্তের (Debashish Dutta) পরের ছবি ‘তেল’।

পুলিশ মহলে ব়্যাফ অ্যান্ড টাফ অফিসার হিসেবে পরিচিত দেবাশিস দত্ত কিন্তু বাংলা ছবির জগতে একেবারেই অপরিচিত নন। তাঁর লেখা গল্প থেকে এর আগে হয়েছে বিগ বাজেট ছবি ‘তেল’ মৃগয়া‘। তার পরে ‘শিবা‘ নামে একটি শর্ট ফিল্ম পরিচালনা করেন তিনি। সেই ছবির বিশেষত্ব ছবিটি নির্বাক। শহরের একেবারে প্রান্তিক কিশোরদের ফুটবল খেলার গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে সেই ছবি। তাতে অনন্যা ভট্টাচার্য ছাড়া আর কোনও পেশাদার অভিনেতা ছিলেন না।

তবে ‘তেল’-এর স্টারকাস্ট নজর কাড়া। অনেকদিন পরে ক্যামেরার সামনে আবার দেখা যাবে অরিত্র দত্ত বণিককে। রয়েছেন যুধাজিৎ সরকার ও অনন্যা ভট্টাচার্যও (Ananya Bhattacharya)। এই ছবির গল্প ও পরিচালনা দুটোই দেবাশিসের (Debashish Dutta)। গল্প এগিয়েছে একটি কর্পোরেট সংস্থার কর্মজীবন নিয়ে। শুধু কর্পোরেট নয়, সরকারি-বেসরকারি সব ক্ষেত্রেই বসকে খুশি করতে পারলে উন্নতি তরতর করে হবে। কোম্পানির লাভ, তাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা সব ঠিক আছে, কিন্তু বসকে তেল দিতে না পারলে কর্মীর উন্নতি নেই। আর সেই বিষয়কে নিয়েই এই গল্প এগিয়েছে।

পরিচালক দেবাশিস জানান, ছবিটি আপাতত সব ফিল্ম ফেস্টিভালে পাঠানো হবে। তার পরে মুক্তির বিষয়ে ভাবা হবে।

–

–

–

–

–

–