রামপুরহাটে নাবালিকা ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় এবার চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ। ধৃত শিক্ষকের বাড়ি থেকে উদ্ধার সেক্সটয় (Sex Toy)। স্থানীয়রা বলছেন বিকৃত মানসিকতার জন্যই অভিযুক্তের ডিভোর্স হয়ে যায় কিছু বছর আগে। এরপর ভাড়া বাড়িতে পরিচারিকার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন মনোজ পাল (Manoj Paul)। ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নাবালিকাকে দীর্ঘদিন ধরে বিয়ের কথা বলে শারীরিকভাবে জোর করতেন ধৃত শিক্ষক।বৃহস্পতিবার সকালে স্কুলে গিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন গ্রামবাসীরা। আক্রান্ত হন প্রধান শিক্ষক।স্থানীয়দের অভিযোগ, অভিযুক্ত শিক্ষকের স্বভাব চরিত্র সম্পর্কে সব জানা সত্ত্বেও প্রধান শিক্ষক কোনও পদক্ষেপ করেননি। উলটে তাঁকে আড়াল করতেন সব সময়। এই কারণেই চলে বেধড়ক মারধর। পুলিশ আটকাতে গেলে সেই গাড়িতেও ভাঙচুর করা হয়। সব মিলিয়ে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়।

কুড়ি দিন নিখোঁজ থাকার পর বুধবার তেরো বছরের ছাত্রীর দেহ উদ্ধার হতেই রামপুরহাটে চাঞ্চল্য ছড়ায়। সপ্তম শ্রেণীর আদিবাসী পড়ুয়াকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঘরে আটকে রেখে ধর্ষণ, তারপর খুন করে দেহ টুকরো টুকরো করে কেটে বস্তায় ভরে সেচখালে ফেলে দেন অভিযুক্ত শিক্ষক মনোজ পাল। তাঁকে গ্রেফতারের পরই বাড়িতে তল্লাশিতে গিয়ে অবাক তদন্তকারীরা। শিক্ষকের ঘরে থেকে উদ্ধার সেক্সটয়, ভাইব্রেটরসহ, নানা যৌন উদ্দীপক খেলনা। বিকৃত মানসিকতার এই শিক্ষকের চরম শাস্তি দাবি করছে পরিবার ও এলাকাবাসী।

–

–

–

–

–

–

–

–