স্বামী-স্ত্রীর বিচ্ছেদ। আর তার মধ্যে পড়ে সন্তানের ভোগান্তি। এই ছবি এদেশ-বিদেশ সর্বত্র একই। তবে সেটা পরোক্ষ। কিন্তু প্রত্যক্ষ এই দড়ি টানাটানির সাক্ষী থাকল কাটোয়ার আদালত চত্বর। বাবা-মায়ের মধ্যে এই টানা-হ্যাঁচড়ায় হতবাক সকলেই। দু’পক্ষেরই দাবি, ৮ বছরের বালক তার কাছেই থাকতে চায়। টানাটানির সময় শিশুটিকে নিয়ে চলে যান তাঁর মামারবাড়ির লোকজন।

৯ বছর আগে আজিজুল রহমানের সঙ্গে পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের মসজিদ পাড়ার বাসিন্দা আমিনার বিয়ে হয়। শিশুটির বাবা মুর্শিদাবাদের বড়ঞা থানার সুন্দরপুর গ্রামের বাসিন্দা সৈয়দ আজিজুল রহমান। তাঁর অভিযোগ, স্ত্রীর চরিত্র ভাল নয়। তাই ছেলেকে নিজের কাছে রাখছেন। তাঁর আইনজীবী মহম্মদ সাদিক হাসান জানান, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শুনানি শেষে মামলাটি ড্রপ করে দেন।

শিশুর মা আমিনা বিবির আইনজীবী শেখ পারভেজ আবদুল্লাহর অভিযোগ, ওই শিশুকে ২ মাস ধরে জোর করে আটকে রেখেছিলেন তার বাবা। এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে সন্তান উদ্ধারের জন্য আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক মামলা খারিজ করে দেন। সন্তান কার কাছে থাকবে সে বিষয়ে রায় দেওয়ার এক্তিয়ার এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের নেই। এখন ওই শিশু কার কাছে আছে বলতে পারবেন না বলে জানান আইনজীবী। তবে, যাঁর কাছেই শিশু থাকুক না কেন, তার শৈশব যে অস্থিরতার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে- তা বলছেন সকলেই।

–

–

–

–

–
