কুড়ি টাকায় কটা ফুচকা পাওয়া যায় মোদির রাজ্য গুজরাটে? ভোদদরার এক মহিলা জানালেন – ৬টি। খুব গায়ে লাগলেও ফুচকার টান যে অস্বীকার করা যায় না। আর সেই ফুচকায় (pani puri) যদি ২টো কম দেয় কোনও বিক্রেতা, তবে কী করা উচিত। কান্নাকাটি থেকে রাস্তা অবরোধ করে এমন পরিস্থিতি তৈরি করলেন, যে শেষে ফুচকার স্টলটিই অন্যত্র সরিয়ে দিতে বাধ্য হয় গুজরাট পুলিশ (Gujarat police)।

ভদোদরার মচ্ছিপিঠের এক মহিলা স্থানীয় এক ফুচকাওয়ালার কাছে পরপর দুদিন ফুচকা খেতে যান। তাঁর অভিযোগ, ফুচকাওয়ালা ২০ টাকায় ৬টি ফুচকার বদলে তাঁকে প্রথম দিন কম ফুচকা দেন। পরের দিন ৪টি দেন। তাতেই প্রথমে ঝগড়া, শেষে কান্নাকাটি শুরু ওই মহিলা। তাঁর কান্নাকাটিতে ফুচকাওয়ালা আরও দুটি ফুচকা (pani puri) তাঁকে দিতে চাইলে তিনি বেঁকে বসেন। শেষে ভদোদরার (Vadodara) সুরসাগরের রাস্তার উপর বসে পড়ে রীতিমত পথ অবরোধ করে দেন।

যদিও ফুচকাওয়ালার (vendor) দাবি, এই মহিলা প্রতিদিনই ফাউ (free) খাওয়ার অতিরিক্ত দাবি জানান। তিনি সঠিক ফুচকা গুনে দিলেও তিনি কথা শুনতে চাননি। এদিনে পথ অবরোধে বসে মহিলা আবার ১১২-তে ফোন করে পুলিশও ডাকেন।

আরও পড়ুন: আর কতো? গুজরাটে মৃত্যু বাংলার শ্রমিকের

পুলিশ এসে মহিলাকে বুঝিয়ে রাস্তা থেকে তোলার ব্যবস্থা করে। মহিলার দাবি মেনে গোটা দিন ফুচকাওয়ালাকে বিক্রিও করতে দেওয়া হয়নি। এমনকি পুর কর্তৃপক্ষ তার ঠেলা অন্যত্র সরানোরও বন্দোবস্ত করে। তবে ততক্ষণে সোশ্যাল মিডিয়ার সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ায় যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়ে পুলিশ থেকে প্রশাসন। দুটি ফুচকার জন্য যে এভাবে ট্রাফিক ব্যবস্থা থমকে যাবে মোদির রাজ্য গুজরাটে, তা বোধহয় তাঁরা ভাবতেও পারেননি।

–

–

–

–

–