দুর্গাঙ্গনের (Durgangan) কাজের জন্য দরপত্র ডেকে পদক্ষেপ শুরু করে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার। এই প্রজেক্টে কত খরচ হতে পারে তাও জানা গিয়েছে। গত ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে দুর্গাঙ্গনের ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। মন্ত্রিসভায় (Cabinet) সিদ্ধান্তের পর গত ২২ অগাস্ট দরপত্র ডেকেছিল হিডকো (HIDCO)। দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল ১১ সেপ্টেম্বর। এরপর শুরু হয়ে গিয়েছে কাজ।

এই প্রজেক্টের খরচ প্রায় ২৬১ কোটি ৯৮ লক্ষ ৩০ হাজার ৩০৪ টাকা। গত এক সপ্তাহ ধরে মাটি ফেলে ১২.৬ একর জমিকে উঁচু করার কাজ চলছে। দরপত্রে নির্মাণের সময়সীমাও রয়েছে। অঙ্গীকারের দিন থেকে দু’বছরের মধ্যে ‘দুর্গাঙ্গন’ নির্মাণের কাজ শেষ হবে। ২০২৬ এ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তৃণমূল(Trinamool Congress) সুপ্রিমো দাবি করেছেন, গতবারের থেকে বেশি আসন নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় ফিরবে। সেক্ষেত্রে বড় পরিবর্তন না হলে ২০২৭ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে ‘দুর্গাঙ্গন’-এর কাজ শেষ হয়ে যাবে।

নিউ টাউনের অন্যতম অভিজাত এলাকায়, রামকৃষ্ণ মিশনের (Ramkrishna Mission) জমির একেবারে পাশে দুর্গাঙ্গনের জমিটি। পাশেই রয়েছে পাঁচতারা হোটেল–বাণিজ্যিক পরিকাঠামো। রাজনৈতিক মহলের মতে, এই অবস্থান নিজেই প্রকল্পের গুরুত্ব বাড়িয়েছে। বিজেপির সর্বভারতীয় নেতা-নেত্রীরা কলকাতায় এলে সাধারণত এই হোটেলে ওঠেন৷ সেই হোটেলের কাছেই গড়ে উঠছে ‘দুর্গাঙ্গন’।

আরও পড়ুন-শুক্রে তীব্র ভূমিকম্প রাশিয়া, ইন্দোনেশিয়ায়! ব্যাক টু ব্যাক আফটারশকে সুনামি সতর্কতা জারি

ইতিমধ্যে হিডকো–র চেয়ারম্যান বদল করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ২০২১ সাল থেকে হিডকোর চেয়ারম্যানের পদে ছিলেন। গত ডিসেম্বরে রাজ্য মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত নিয়ে ফিরহাদকে সরিয়ে তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল প্রাক্তন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে। এরপর গত সপ্তাহে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে হিডকোর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়। মন্ত্রিসভার বৈঠকে ঠিক হয়েছিল, হিডকোকে আনা হবে প্রশাসনিক সংস্কার এবং কর্মিবর্গ দফতরের অধীনে। এই দফতর রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতেই।

সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক ঘিরে বিরোধীদের কটাক্ষের মুখে পড়েছে এবং এখনও পড়তে হচ্ছে তৃণমূল সরকারকে। সেখান থেকে দুর্গাঙ্গন (Durgangan) প্রজেক্ট তৃণমূল কংগ্রেসের জন্য কতটা তাৎপর্যবাহী, তা সময়ই বলবে।

চলতি বছর ৩০ এপ্রিল অক্ষয় তৃতীয়ার দিন দিঘায় জগন্নাথ ধামের উদ্বোধন করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। সেই মন্দির নির্মাণের কাজও পরিচালনা করেছিল হিডকো।

বাংলার দুর্গাপুজোকে নতুন মাত্রায় পৌঁছে দিতে ৪৩ হাজারের বেশি পুজো কমিটিকে আর্থিক অনুদান দেওয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্যান্ডেলের প্রতিমা সংরক্ষণের পদক্ষেপ করেছে মমতার সরকার। তাছাড়া, কলকাতার দুর্গাপুজোর ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পাওয়ার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে রাজ্য সরকার।

_

_
_