অভিযোগ দায়েরের পরদিনই গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত। ৫৮ দিনের মাথায় প্রথম চার্জশিট পেশ করেছিল কলকাতা পুলিশ। চার্জশিটের (chargesheet) সঙ্গেই পেশ হয়েছিল ফরেনসিক রিপোর্ট এবং ডিএনএ রিপোর্টও (DNA report)। এই মামলার তদন্তে কলকাতা পুলিশ স্পষ্ট জানালো, যে ডিএনএ রিপোর্ট পেশ হয়েছিল তা মনোজিৎ মিশ্রের সঙ্গে মিলে গিয়েছে। অর্থাৎ নির্যাতিতা ছাত্রী যে ধর্ষণের অভিযোগ করেছিলেন তাতে সরাসরি মনোজিৎই অভিযুক্ত প্রমাণিত হয়েছে।

পুলিশের পেশ করা চার্জশিটে দাবি করা হয়েছে, ঘটনার দিন নির্যাতিতাকে গার্লস সেক্রেটারি করে দেওয়া হবে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। কিন্তু তার জন্য তাকে লয়ালিটির পরীক্ষা দিতে হবে। এই বলে নিরাপত্তাকর্মীর ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই যাবতীয় কুকর্ম করে অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র।

আর এখানেই যোগ পাওয়া গিয়েছে অন্য ছাত্র প্রমিত মুখোপাধ্যায় ও নিরাপত্তাকর্মীর (security guard)। অভিযুক্ত প্রমিত মুখোপাধ্যায় নিরাপত্তা কর্মী পিনাকী বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাইরে থেকে ঘরটি লক করে দিতে বলে। সেখানেই নিরাপত্তা কর্মী পিনাকের বিরুদ্ধে কলকাতা পুলিশের অভিযোগ, তিনি কখনই অভিযুক্তদের বাধা দেননি। এমনকি তাদের নির্দেশ মতোই কাজ করেছেন।

পুলিশের চার্জশিটে আরও দাবি করা হয়েছে, ঐদিন নির্যাতনের একাধিক ভিডিও করা হয়। পরে প্রমাণ লোপাটের জন্য বেশ কিছু ভিডিও ডিলিট করা হয়। নির্যাতনের সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন ছাত্রী। তাকে ইনহেলার দেওয়া হয়। প্রমাণ লোপাটের জন্য সেই ইনহেলারের বাক্সটিও সরিয়ে ফেলা হয়।

আরও পড়ুন: জয় কোথায়: বলেই চারু মার্কেটের জিমে গুলি চালালে দুষ্কৃতীরা!

ধর্ষণের পাশাপাশি মারধরের যে অভিযোগ করেছিলেন কলেজ পড়ুয়া, চার্জশিটে (chargesheet) তারও স্বপক্ষে তথ্য পেশ করে কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)। জানানো হয় হকিস্টিক দিয়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে নির্যাতিতার শরীরে। কলকাতা পুলিশের দাবি, ৬৫০ পাতার চার্জশিটের পাশাপাশি আরও উপযুক্ত সাক্ষ্য প্রমাণ সহ অতিরিক্ত চার্জশিটও পেশ করা হবে যথাসময়ে।

–

–

–

–