দীর্ঘদিন চলা বিতর্ক ও যৌন নিপীড়নের অভিযোগের পর ব্রিটিশ যুবরাজ প্রিন্স অ্যান্ড্রু রাজকীয় উপাধি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলেন। শুক্রবার এক বিবৃতিতে তিনি জানিয়েছেন, তিনি আর ‘ডিউক অব ইয়র্ক’ বা রাজপরিবারের নাইটহুডের মতো মর্যাদা বহন করবেন না। তবে জন্মসূত্রে প্রাপ্ত ‘প্রিন্স’ উপাধিটি তিনি রাখবেন।

প্রিন্স অ্যান্ড্রু ছিলেন প্রয়াত রানি এলিজাবেথ-দ্বিতীয়ের প্রিয় সন্তান এবং সেনা কর্মকর্তা হিসেবেও জনপ্রিয় ছিলেন। কিন্তু এক কিশোরীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ ওঠার পর থেকেই তিনি ব্রিটিশ রাজপরিবারের সবচেয়ে বিতর্কিত সদস্যের মধ্যে একজন হয়ে উঠেছেন।

অ্যান্ড্রু জানিয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে চলমান অভিযোগ রাজপরিবার ও রাজা চার্লসের কার্যক্রমে ব্যাঘাত সৃষ্টি করছে। তাই পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে তিনি সব রাজকীয় উপাধি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন। এ সঙ্গে তিনি ‘অর্ডার অব দ্য গার্টার’-এর সদস্যপদও ত্যাগ করছেন।

বাকিংহাম প্যালেসে অভিযোগ উঠে আসার পর থেকেই চাপ বেড়ে যায়। ২০২২ সালে প্রয়াত রানি এলিজাবেথ তাঁর সামরিক ও রাজকীয় মর্যাদা প্রত্যাহার করেন। এরপর থেকে তিনি জনজীবন ও রাজকীয় অনুষ্ঠানে কম দেখা যেতে শুরু করেন। এদিকে অভিযোগ ও বিতর্কের জেরে তাঁর আর্থিক লেনদেন এবং বিদেশি যোগাযোগ নিয়েও তদন্ত শুরু হয়। উপাধি ত্যাগের সিদ্ধান্তের ফলে প্রিন্স অ্যান্ড্রুর সাবেক স্ত্রী সারাহ ফার্গুসনও ‘ডাচেস অব ইয়র্ক’ মর্যাদা হারাবেন। তবে তাদের দুই মেয়ে প্রিন্সেস উপাধি রাখতে পারবেন। অ্যান্ড্রু নিজ নামে থাকা ‘রয়্যাল লজ’-এ ইজারার ভিত্তিতে থাকবেন, যার মেয়াদ ২০৭৮ সাল পর্যন্ত।

আরও পড়ুন – গুজরাটে কাজ করতে গিয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু নদিয়ার পরিযায়ী শ্রমিকের

_

_

_

_

_