বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে এঁটে উঠতে না পেরে রাজনীতির বাইরে কুৎসায় মত্ত বিরোধী নেতারা। কখনও তৃণমূল সাংসদদের তুই-তুকারি, আবার কখনও সাম্প্রদায়িক আক্রমণ – কোনওদিক থেকেই পিছিয়ে নেই বিরোধীরা। এই পরিস্থিতিতে বিরোধীদের কুৎসার জবাবে তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) স্পষ্ট করে দিলেন, ২০৩৬ সাল পর্যন্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই (Mamata Banerjee) থাকছেন। যদিও এর মধ্যে ২০২৯ সালে তিনি প্রধানমন্ত্রী (Prime Minister) হলে অবশ্য পরিস্থিতি অন্যরকম হতে পারে, এমন ইঙ্গিতও দিয়ে রাখলেন কুণাল।

বিরোধীদের কুৎসার জবাব বরাবর শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস নিজেদের উন্নয়ন দিয়েই দিয়ে এসেছে। সেই জবাবের ভিত্তিতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের মেয়াদ নিয়ে বড় ঘোষণা করে দিলেন কুণাল ঘোষ। কুৎসাকারীদের জবাব দিয়ে তিনি জানান, জনভিত্তিহীন নাটকবাজ বিরোধীপক্ষ এবং ঈর্ষাকাতর, অবসাদগ্রস্ত, হতাশ কিছু কুৎসাকারীকে এক নাগরিক হিসেবে বলে রাখি- জ্যোতি বসুর (Jyoti Basu) মুখ্যমন্ত্রিত্বের রেকর্ড ভেঙে দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০৩৬ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister) তিনিই।

তবে এখানেই থেকে থাকেননি কুণাল ঘোষ। ভবিষ্যৎ মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম আরও একবার উস্কে দিয়ে তিনি জানান, ওই সময়টার আগেপরে থেকে তাঁর আশীর্বাদে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) মুখ্যমন্ত্রিত্ব শুরু। সঙ্গে যোগ করেন, এর মধ্যে ২০২৯-এ যদি মমতাদি প্রধানমন্ত্রী (Prime Minister) হন, তাহলে আলাদা কথা।

আরও পড়ুন: শুভেন্দুকে দেখে ক্ষোভ উগরালো মহিলারা: ‘হামলা’র তত্ত্ব খাঁড়া বিরোধী দলনেতার

রাজ্যে উৎসবের আবহের শেষেই শুরু হয়ে যাবে নির্বাচনের পারদ চড়া। উৎসবকেও বিরোধীরা বিশেষত বিজেপি বিভিন্নভাবে রাজনীতির মঞ্চ হিসাবে বেছে নিয়েছে। তবে কুৎসার রাজনীতির থেকে যে আদতে উন্নয়নের রাজনীতিতেই আস্থা রাখবেন রাজ্যের মানুষ, তার ইঙ্গিত দিয়ে কুণাল ঘোষের কটাক্ষ – বিরোধীরা মিডিয়া, সোশ্যাল মিডিয়াতেই থাকুন। তৃণমূল নবান্নে (Nabanna) সুন্দর, বিরোধীরা ফেসবুকে।

–

–

–

–

–