আলোর উৎসবের রাতেই বিষাদের ছায়া। বলিউড (Bollywood) হারায় তার একযুগের কৌতুক সম্রাট তথা বরিষ্ঠ অভিনেতাকে। ৮৪ বছরের প্রবীণ অভিনেতা আসরানির (Asrani) প্রয়াণে শোকজ্ঞাপন করে ফেসবুকে পোস্ট করেন চলচ্চিত্র সমালোচক ও সাংস্কৃতিক বিশ্লেষক দেবাশিস মুখোপাধ্যায়। আর সেখান থেকেই সামনে আসে এমন তথ্য যা অনেকেরই অজানা। হরে কাচ কি চুড়িয়াঁ’ নয়, আসরানি প্রথম অভিনয় করেন ঋত্বিক ঘটকের (Ritwik Ghatak) ছবিতে। নাম ‘ফিয়ার’ (Fear)।

সোমবার বিকেল ৪টে নাগাদ প্রয়াত হন বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা আসরানি। দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন এই বর্ষীয়ান শিল্পী। তাঁর মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপন করে স্যোশাল মিডিয়ায় পোস্ট (Social Media Post) করেন অনেকেই। সেই রকমই দেবাশিস মুখোপাধ্যায়ও (যিনি দেমু নামে লেখেন) পোস্ট করেন। সেখানেই তিনি জানান, ১৯৬৪ সালে ঋত্বিক ছিলেন পুনে ফিল্ম ইনস্টিটিউট-এর অধ্যাপক। আর তাঁর ছাত্র ছিলেন আসরানি। ১৯৬৪-৬৫ সালের অ্যাক্টিং কোর্সের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে একটি শর্ট ফিল্ম তৈরি করেছিলেন ঋত্বিক। ‘ফিয়ার’ নামে ওই ছবিতে অভিনয় করেন আসরানি। আসরানিকে দেখিয়েই ছবিটি শুরু হয়। ছবিতে ক্যাপ্টেনের ভূমিকায় অবিনয় করা আসরানির সংলাপ হয়ত কম ছিল, কিন্তু তাঁর নির্বাক অভিনয়ও নজর কাড়ে।

ছবির টাইটেল কার্ডে প্রথমেই নাম ছিল আসরানির (Asrani)। তবে, সেই তালিকায় আরও কিছু নাম ছিল, পরবর্তীকালে যাঁরা বলিউড কাঁপিয়েছেন। যাঁর মধ্যে অন্যতম সুভাষ ঘাই। ওই পোস্টের কমেন্টেই অনেকে লিখেছেন, শুধু আসরানি নন, ঋত্বিক ঘটকের ছাত্র ছিলেন বিধু বিনোদ চোপড়াও। জানা যায়, জয়া ভাদুড়িও ছিলেন আসরানির সহপাঠী।

আরও একটি চমকপ্রদ তথ্য, ‘শতরঞ্জ কে খিলাড়ি’-তে নবাব ওয়াজিদ আলি শাহের চরিত্রে প্রথমে আসরানিকেই বেছেছিলেন সত্যজিৎ রায় (Satyajit Ray)। কিন্তু সেটির জন্য আসরানিকে অনেক ওজন বাড়াতে হত।

ফিয়ার স্বপ্নদৈর্ঘ্যের ছবিটি কিছুদিন আগে নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে (YouTube) আপলোড করেছে NFDC।

–

–

–

–

–