শারীরিক বা মানসিক দিক থেকে বিশেষ ভাবে সক্ষম পড়ুয়াদের শিক্ষার সুযোগ আরও বাড়াতে উদ্যোগী রাজ্য সরকার( Govt. of W.B)। রাজ্যের গণশিক্ষা সম্প্রসারণ ও গ্রন্থাগার পরিষেবা দফতর ২০২৫–২৬ শিক্ষাবর্ষের জন্য ‘সহানুভূতি’ বৃত্তির আবেদন আহ্বান করেছে। নবম শ্রেণি ও তার উপরে অধ্যয়নরত বিশেষভাবে সক্ষম ছাত্রছাত্রীরা এই প্রকল্পের আওতায় আবেদন করতে পারবেন।

এই বৃত্তির মূল লক্ষ্য, প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের সাধারণ শিক্ষা, কারিগরি শিক্ষা বা পেশাগত শিক্ষায় আর্থিক সহায়তা প্রদান। ৪০ শতাংশ বা তার বেশি দৃষ্টিহীনতা, শ্রবণ প্রতিবন্ধকতা, শারীরিক বা মানসিক প্রতিবন্ধকতা থাকা পড়ুয়ারা এর জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।

নির্ধারিত ফরম্যাটে আবেদনপত্র সংশ্লিষ্ট জেলার গণশিক্ষা সম্প্রসারণ আধিকারিকের দফতরে আগামী ২৮ নভেম্বরের মধ্যে জমা দিতে হবে। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বীকৃত সঙ্গীত, কারিগরি ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত পড়ুয়ারা–ও এই বৃত্তির আওতাভুক্ত।

যোগ্যতার ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, আবেদনকারীদের আগের শিক্ষাবর্ষে ন্যূনতম ৪০ শতাংশ নম্বর পেতে হবে এবং তাঁদের পরিবারের বার্ষিক আয় ২ লক্ষ টাকার বেশি হওয়া চলবে না। সঙ্গে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর ও আইএফএসসি কোড প্রদান বাধ্যতামূলক।

এই প্রকল্পে নবম ও দশম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীরা প্রতি মাসে ৩০০ টাকা এবং আবাসিক ছাত্রছাত্রীরা ৫০০ টাকা করে পাবেন। দৃষ্টিহীন ছাত্রছাত্রীরা অতিরিক্ত ২০০ টাকা রিডারের ভাতা হিসেবে পাবেন। উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে বৃত্তির পরিমাণ ধাপে ধাপে বাড়বে—যেমন পিএইচডি স্তরের দিবাভোগীরা মাসে ২৫,০০০ টাকা, আবাসিকরা ২৬ হাজার টাকা এবং অতিরিক্ত দু হাজার টাকা রিডারের ভাতা পাবেন।

এ ছাড়া যাতায়াত বা সহায়ক ভাতা এবং বছরে দুহাজার টাকা করে বই, সরঞ্জাম, সহায়ক যন্ত্রপাতি বা শিক্ষাসামগ্রী কেনার জন্য অনুদান দেওয়া হবে। তবে যারা রাজ্য বা কেন্দ্র সরকারের অন্য কোনও বৃত্তি বর্তমানে পাচ্ছেন, তাঁরা এই প্রকল্পের আওতায় আসবেন না বলে জানিয়েছে দফতর।
