দুর্গাপুর মেডিক্যাল(Durgapur medical) পড়ুয়াকে ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে নির্যাতিতার আইনজীবী এবার বিস্ফোরক দাবি করলেন। তিনি জানান, ‘ধর্ষণের ঘটনা পূর্ব পরিকল্পিত। নির্যাতিতার সহপাঠী ছাত্র মাস্টারমাইন্ড।’ বুধবার এই ঘটনায় ধৃতদের মধ্যে চার জনকে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে হাজির করা হয়। ওই চারজনকে পাঁচ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে মামলার শুনানিতে বিচারক অভিযুক্তদের শনাক্তকরণে টেস্ট আইডেন্টিফিকেশন বা টিআই প্যারেডের নির্দেশ দিয়েছিলেন। আগামী ২৪ তারিখ হবে টিআই প্যারেড। সহপাঠী ছাড়া বাকি পাঁচজনকে টিআই প্যারেডে হাজির করানো হবে।

আজ, দুর্গাপুরে আইকিউ সিটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ধর্ষণকাণ্ডে ৪ জন অভিযুক্তকে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়। অভিযুক্তদের জামিনের আবেদন খারিজ করে আগামী ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন তিনি। সরকারি আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায় এই ঘটনায় বলেন তদন্তের স্বার্থে ধর্ষণের ঘটনা ঘটার আগে চিকিৎসক পড়ুয়ার সঙ্গে সহপাঠীর কথোপকথনের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট বার করে বিচারকের সামনে পেশ করার আবেদন করা হয়েছে। এই মামলায় তিনজন অভিযুক্ত দশ দিনের পুলিশি হেফাজতে ছিল। দু’জন ন’দিনের এবং নিগৃহীতার সহপাঠী আরও এক ডাক্তারি পড়ুয়া ও অভিযুক্ত সাত দিনের পুলিশি হেফাজতে ছিল।

অভিযুক্ত সহপাঠীর উকিল প্রজ্ঞাদীপ্ত রায় যদিও জানিয়েছেন দু’জনের মধ্যে ভালবাসার সম্পর্ক ছিল। অভিযুক্ত সহপাঠী কোনমতেই দোষী নয়। আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনার সুনীল চৌধুরী এই মর্মে জানিয়েছিলেন, তদন্তপ্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত কতজন ওই ডাক্তারি পড়ুয়াকে ধর্ষণ করেছে সেই বিষয়টি বলা সম্ভব নয়।

_

_

_

_
