Tuesday, November 18, 2025

কোনও বৈধ নাম বাদ গেলে তীব্র প্রতিবাদ-দিল্লিতে কমিশনের দফতর ঘেরাও: হুঁশিয়ারি তৃণমূলের

Date:

Share post:

একজন বৈধ ভোটার বা নাগরিকের নাম বাদ গেলে অথবা তাঁদের হয়রান করলে তার তীব্র প্রতিবাদ ককবে রাজ্যের শাসকদল। এক লক্ষ কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের দফতর ঘেরাও করা হবে। জাতীয় নির্বাচন কমিশনে SIR ঘোষণার পরেই হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূলের (TMC) রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। তিনি জানান, কমিশনের বিজ্ঞপ্তি খতিয়ে দেখছেন শীর্ষ নেতৃত্ব।

মঙ্গলবার থেকে রাজ্যে শুরু হচ্ছে বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR)। এদিন, নয়াদিল্লির বিজ্ঞান ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। দেশের মোট ১২টি রাজ্য ও কেন্দ্রীয়শাসিত রাজ্যে মঙ্গলবার থেকে SIR শুরু হচ্ছে। সোমবার রাত ১২টা থেকেই কমিশনের পুরনো তালিকা ফ্রিজ হয়ে যাবে। এই বিষয় নিয়েই রাজ্যের শাসকদল স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, রাজ্যের কোনও বৈধ ভোটারের নাম বাদ গেলে দিল্লিতে অভিযান হবে। কুণাল ঘোষ জানান, নির্ভুল ভোটার তালিকার দাবিতে সবার আগে সরব হয়েছে তৃণমূল। অন্য রাজ্যের ভোটার লিস্ট যখন এখানে কপি-পেস্ট করার ষড়যন্ত্র হয়, তাখন তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদকের কথায় বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন শীর্ষ নেতৃত্ব। তবে, কোনও বৈধ ভোটার বা নাগরিকের নাম বাদ গেলে বা বিভিন্ন নথি চেয়ে তাঁদের হয়রানি করা হলে তার তীব্র প্রতিবাদ করবে তৃণমূল। এক লক্ষ কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের দফতর ঘেরাও করা হবে- হুঁশিয়ারি কুণালের।
আরও খবর: মঙ্গল থেকেই বাংলায় শুরু SIR, সোম রাতেই ফ্রিজ পুরনো তালিকা: ঘোষণা নির্বাচন কমিশনের

বাংলায় SIR করা নিয়ে তৃণমূলের আপত্তি প্রসঙ্গে এদিন কমিশনের সাংবাদিক বৈঠকেই প্রশ্ন ওঠে। তবে বিষয় নিয়ে কোনও বিতর্কে ঢুকতে চাননি মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। শুধু আইনের একটি ধারা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের বিষয়ে প্রশ্ন নিয়ে একটা কথাই বলতে পারি, ভারতের সংবিধানের ৩২৪(৬) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি বা রাজ্যের রাজ্যপাল নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় কর্মী নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) কাছে সরবরাহ করতে বাধ্য। এই কর্মীরা নির্বাচন পরিচালনা, ভোটার তালিকা প্রস্তুত ইত্যাদি কাজে নিয়োজিত থাকেন। আবার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখার দায়িত্ব রয়েছে রাজ্য সরকারের। আমি মনে করি, পশ্চিমবঙ্গ সরকার সেই দায়বদ্ধতার কথা জানে, এবং তা পালন করবে।“

spot_img

Related articles

পরিষেবা ও কাজে খামতি কোথায়: পঞ্চায়েতের মূল্যায়নে এবার শুরু বৈঠক

রাজ্যের উন্নয়নমূলক প্রকল্পের শেষ নেই। সাধারণ মানুষের কাছে স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমেই পৌঁছে দিয়ে থাকে রাজ্যের প্রশাসন। তবে পঞ্চায়েতগুলি...

গোটা নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়েই সুপ্রিম কোর্টে যাওয়া উচিত: বিরোধীদের বার্তা পিকে-র

বিহারে কেউ দাবি করছেন ভোটার তালিকা। কারও অভিযোগ ভোটার সংখ্যা নিয়ে। আবার কোনও বিরোধী রাজনৈতিক দল এসআইআর (SIR)...

সুন্দরবন উন্নয়নে রাজ্যের ১২ দফতরের সমন্বয়: বিশ্বব্যাঙ্কের টাকায় ঢালাও প্রকল্প

একদিকে বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ অরণ্য ও তার জীববৈচিত্রকে রক্ষা করা। অন্যদিকে সুন্দরবনের দ্বীপে আশ্রয় পাওয়া জনবসতির সামগ্রিক ও...

কার সঙ্গে বিরোধ? এক নেতার নামে অভিযোগ করে নতুন দল গড়ছেন হুমায়ুন কবীর!

ঘুড়ির সুতো ছাড়ার মতো মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে প্রায় যা খুশি বলার ছাড় দিয়ে রাখা হয়েছে। তাতেই...