একটা সময় ডেম্পো মানেই ছিল ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানের কাছে শক্ত গাঁট। সেই ডেম্পো দুর্বল হয়েছে, কিন্তু নামের সুনাম বজায় রেখেছে। সুপার কাপে( Super Cup) ইস্টবেঙ্গলের পর ডেম্পোর কাছে আটকে গেল মোহনবাগানও(Mohun Bagan)। চেন্নাইন এফসির বিরুদ্ধে জয়ের পর ডেম্পোর সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করল সবুজ মেরুন ব্রিগেড।

সামনে একা দিমিত্রি পেত্রাতোসকে রেখে ৪-২-৩-১ এ ছক সাজান হোসে মোলিনা। বাঁ দিকে রাখেন রবসনকে। সেইভাবে ওপেন সুযোগ কোনও দলই তৈরি করতে পারেনি। প্রথমার্ধে গোল লক্ষ্য করে ছ’টি শট নেয় মোহনবাগান। তারমধ্যে সবই বাইরে।

পরের ৪৫ মিনিটে কামিন্স, সাহালরা আক্রমণ করে গিয়েছেন আর ডেম্পোর ডিফেন্ডাররা রক্ষণকে জমাট করে রাখলেন। উইং থেকে একের পর এক মাইনাস করে গিয়েছে মোহনবাগান আর বক্সে ব্লক করেছেন ডেম্পোর ছেলেরা। বস্তুত গোটা ম্যাচে সিংহভাগ বল দখলে রাখলেও ফাইনাল থার্ডে পরিষ্কার সুযোগ তৈরি করতে পারেনি সবুজ-মেরুন শিবির।

সুপার কাপের প্লে অফের লড়াই জমে গেল। দু’টি করে ম্যাচের পর ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগানের পয়েন্ট ৪। গোল পার্থক্যে শীর্ষে ইস্টবেঙ্গল। দু’ম্যাচে ২ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে ডেম্পো। শেষ স্থানে চেন্নাইয়িন। ডেম্পোর বিরুদ্ধে বাগান ড্র করায় বেড়ে গেল ডার্বির গুরুত্ব। নক আউটে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে ডেম্পোরও। তারা চেন্নাইয়িনকে হারিয়ে দিলে, ৫ পয়েন্টে পৌঁছে যাবে। ডার্বি ড্র হলে ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগানের পয়েন্টও হবে ৫। তখন গোল পার্থক্য বড় ফ্যাক্টর হবে।

–

–

–



