বিধানসভা ভোটের আগে আসন্ন পুরভোটের দায়িত্বও পিকে-র হাতেই দিচ্ছে তৃণমূল

একুশের বিধানসভা নির্বাচনের জন্যই মূলত ‘ভোটগুরু’ প্রশান্ত কিশোরকে বাংলার রাজনীতিতে ডেকে এনেছে তৃণমূল। কিন্তু সিদ্ধান্ত একটু বদলেছে।

প্রশান্ত কিশোরের কাজে ‘খুশি’ হয়ে এবং কৌশলগত কারনে তাঁর হাতেই রাজ্যের আসন্ন পুরভোটের দায়িত্বও তুলে দিচ্ছে তৃণমূল। আগামী পুরসভা নির্বাচনের সমস্ত পরিকল্পনার দায়িত্বে থাকবে ‘পিকে’র টিম।

আগামী কয়েক মাসে পুর এলাকার প্রত্যেক জনপ্রতিনিধিদের কাজকর্ম খতিয়ে দেখবে টিম-পিকে। কারা দলের টিকিট পাওয়ার যোগ্য, কাদের ভাবমূর্তি প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়ে, সে বিষয়েও সুপারিশ করবেন পিকে।

আরও পড়ুন – ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি প্রতিষ্ঠার শতবর্ষ: কাল নেতাজি ইন্ডোরে উদযাপন করবে সিপিএম

ফলে 2021-এর বিধানসভা নির্বাচনের অনেক আগেই পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে ‘পিকে’র অগ্নিপরীক্ষা শুরু হতে চলেছে। রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, এ রাজ্যের ভোট- রাজনীতিতে ‘পিকে’ এখনও অপরীক্ষিত। তাই বিধানসভা ভোটের আগেই পিকে-র ‘পরীক্ষা’ নিতে চায় তৃণমূলও। ওদিকে, বিধানসভা ভোটের আগের এই সেমিফাইনালে নিজের ‘সুনাম’ বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর পিকে-ও।

এই মুহূর্তে পিকে-র পরামর্শ অনুসারে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে মানুষের অসন্তোষ কোথায় রয়েছে, তা খতিয়ে দেখার কাজ চলছে।

তৃণমূল কংগ্রেসের বিশ্বাস, একুশের ভোটের আগে 2020-র পুরনির্বাচনে মানুষের অসন্তোষের আগুনে জল ঢেলে দেওয়ার সুযোগ পাবেন পি কে। তৃণমূল মনে করছে, একুশে যা তৃণমূলকে অনেকটাই এগিয়ে নিয়ে যাবে। তাই দু’টি ভোটই ‘এক’ হাতে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল।

আরও পড়ুন – হার মানছে তুঘলক, দু’হাজার টাকার নোট ছাপা বন্ধ করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক