সস্ত্রীক হোম আইসোলেশনে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। আগেই খবর পাওয়া গিয়েছিল, রাজ্যে প্রথম করোনা আক্রান্ত তরুণের মা রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরের বিশেষ সচিব। এবং তাঁর ছেলে লন্ডন থেকে ফেরার পরে বাড়িতেই ছিলেন। মা গিয়েছিলেন নবান্নে। সেখানে গিয়ে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকও করেন তিনি। মঙ্গলবার, রাতেই জানা যায়, ওই মহিলার ছেলের শরীরে মিলেছে করোনার সংক্রমণ। এরপর বুধবার, আর নিজের দফতরে যাননি আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তিনিই নয়, তাঁর স্ত্রী সোনালী চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়, যিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তিনিও বিশ্ববিদ্যালয়ে যাননি। নবান্নে সূত্রে খবর, সংক্রমণ ছড়ানো আটকাতেই সেল্ফ কোয়ারেন্টাইনের সিদ্ধান্ত নেন আলাপন। শুধু তিনিই নন, নবান্নের আরও কয়েকজন আমলাই না কি এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। নবান্নের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিকের মতে, একজন দায়িত্বজ্ঞানহীন আমলার কাজের জন্য ভুগতে হচ্ছে বাকিদেরও।
এদিকে, নবান্ন সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই সিসিটিভি ফুটেজ থেকে ওই আমলা আর কার কার সংস্পর্শে এসেছিলেন, তা দেখে তাঁদেরও বাড়ি থেকে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হতে পারে। ইতিমধ্যেই ওই আমলার ঘর সিল করে দেওয়া হয়েছে।