২৬ সেপ্টেম্বর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যসাগরের জন্মদিনটিকেই শিক্ষক দিবস হিসাবে পালন করানোর ভাবনায় সচেষ্ট বাংলা পক্ষ। বিদ্যাসাগরের জন্মদিনটি ‘জাতীয় শিক্ষক দিবস’ হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে আর্জি জানাল বাংলা পক্ষ। বাংলা পক্ষ-র তরফে এক বিবৃতিতে একথা জানানো হয়েছে।

বাংলা পক্ষের এক প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ’ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বাংলা ও বাঙালির জাতীয় শিক্ষক। বাংলা তথা ভারতে শিক্ষা বিস্তারে তিনি ছিলেন অদ্বিতীয়। নারী শিক্ষা প্রসারেও তাঁর অবদান সারা পৃথিবীতে স্বীকৃতির দাবি রাখে।’ তাই বাংলার এই শিক্ষকের জন্মদিন উপলক্ষ্যে সংগঠনের তরফ থেকে রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন করা হয়েছে, পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মদিনটি ‘বাংলার জাতীয় শিক্ষক দিবস’ হিসাবে ঘোষণা করা হোক।”
সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, অন্যান্য বছরের মতো এবারও ২৬ সেপ্টেম্বর, পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মদিনটি সারা বাংলাজুড়ে দিনটিকে ‘বাংলার জাতীয় শিক্ষক’ দিবস হিসাবে মহাসমারোহে পালন করবে বাংলাপক্ষ। এই উপলক্ষ্যে রাজ্যের ২১ টি জেলায় ‘ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিয়েছেন’ এমন ২১ জন মহান শিক্ষাব্রতীকে ‘বাংলার জাতীয় শিক্ষক সম্মাননা -১৪২৭’ সম্মানে ভূষিত করা হবে।

তারা আরও জানাচ্ছে, ২৬ সেপ্টেম্বরকে “রাষ্ট্রীয় শিক্ষক দিবস” এর স্বীকৃতি দিতে কেন্দ্র সরকারের কাছে দরবার করুক রাজ্য সরকার। একই সঙ্গে রাষ্ট্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক তথা সরকারের কাছে আবেদন এই দিনটিকে ‘রাষ্ট্রীয় শিক্ষক দিবস’ হিসেবে গ্রহণ করুন। নবান্নে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে লেখা চিঠি জমা করা হয়েছে এবং প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।’


বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এবছর ‘বাংলার জাতীয় শিক্ষক সম্মাননা-১৪২৭’ প্রাপকদের তালিকায় রয়েছেন: পূর্ব বর্ধমানের ড. অমল কুমার কুমার, দক্ষিণ ২৪ পরগনার আলতাপ সেখ,বাঁকুড়ার বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতার নির্মল চন্দ্র সাহা, মুর্শিদাবাদের ডা. এমএ রশিদ, উত্তর ২৪ পরগনার (গ্রামীন) বরুণ বিশ্বাস (মরণোত্তর), উত্তর ২৪ পরগনার (শহরাঞ্চল) চিত্রদীপ সোম, পূর্ব মেদিনীপুরের হিমাংশু শেখর বেরা, উত্তর ২৪ পরগনার (শিল্পাঞ্চল) মুরারী মোহন সুর, শিলিগুড়ির ড. প্রকাশ অধিকারী, মালদার মো.মনিরুল ইসলাম, পশ্চিম বর্ধমানের নিরঞ্জন সর্দার, নদিয়ার ভবতোষ মণ্ডল, জলপাইগুড়ির অনিত কুমার ঘোষ, বীরভূমের শ্যামল মাজি, হাওড়ার শ্রীকৃষ্ণধন কোলে, হুগলির (শিল্পাঞ্চল) প্রবীর কুমার ঘোষ, পশ্চিম মেদিনীপুরের দীপঙ্কর ষণ্ণিগ্রাহী, পুরুলিয়ার জলধর কর্মকার, কোচবিহারের সামসুজ্জামান মিঞা ও উত্তর দিনাজপুরের শুভেন্দু মুখোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন-নারী নিগ্রহ ঠেকাতে কড়া দাওয়াই যোগী সরকারের
