দশমীর পরেই ১০০ টাকা কিলো দরে মিলবে পেঁয়াজ, আশঙ্কা বাজার বিশেষজ্ঞদের

ক্রমশই মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে পেঁয়াজের দাম। দেশের বৃহত্তম পাইকারি পেঁয়াজের বাজারে প্রতি কুইন্টাল দাম ৭,৮০০ টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে। ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, আপাতত দাম কমার তো কোনও সম্ভাবনা নেই। উল্টে আরও বেড়ে যেতে পারে ফসলের দাম।

এমন হওয়ার কারণ কী?

এক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের ব্যখ্যা, বাজারে নতুন পেঁয়াজ ঢুকতে আরও অন্তত এক মাস বাকি আছে। এদিকে পুরনো স্টকও শেষ হওয়ার মুখে। ফলে চাহিদা মতো যোগানে টান পড়ায় স্বাভাবিকভাবে চড়তে শুরু করেছে দাম। পাশাপাশি, প্রকৃতির খামখেয়ালিপনাকে দায়ি করেছেন ব্যবসায়ীরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, এবছর বর্ষাকাল পেরিয়ে গেলেও বৃষ্টি হয়েছে। আর সেই কারণে ক্ষতি হচ্ছে পেঁয়াজের। জমিতেই মরে যাচ্ছে গাছ। অকাল বর্ষণে মাথায় হাত পড়েছে মহারাষ্ট্র ও কর্নাটকের কৃষকদের।

আরও পড়ুন : ষষ্ঠীর সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার, বৃষ্টিতেই শুরু দেবীর বোধন

বর্তমানে দেশের বৃহত্তম পেঁয়াজের পাইকারি বাজার নাসিকের লাসালগাঁও। সেখানে এখন কুইন্টাল প্রতি পেঁয়াজের দাম ৭,৮০০ টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে। যা এই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, গত ১০ মাসের মধ্যে এদিনই প্রথম এত চড়া দরে পেঁয়াজ বিক্রি হল। গত ডিসেম্বর মাসে শেষবার পেঁয়াজের দাম এই স্তরে পৌঁছে গিয়েছিল। তার পর থেকে এর দাম ক্রমশ কমতে থাকে।

সপ্তাহের শুরুতে নাসিকের বাজারে প্রতি কুইন্টাল পেঁয়াজের নিলামের গড়ে দর ছিল ৭,১০০ টাকা। এর মধ্যে সবথেকে খারাপ মানের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১,৯০১ টাকা কুইন্টাল দরে। অন্যদিকে, সবথেকে ভালো পেঁয়াজের কুইন্টাল প্রতি দর ছিল ৭ হাজার ৮১২ টাকা। এই দরে গতকাল ৭ হাজার কুইন্টাল পেঁয়াজ নিলাম হয়েছে।

আরও পড়ুন : বিহার বিধানসভা ভোট নিয়ে কী বলছে সমীক্ষা রিপোর্ট?

পশ্চিমবঙ্গে অধিকাংশ পেঁয়াজ মহারাষ্ট্র, কর্নাটকের মতো রাজ্য থেকে আমদানি করা হয়। ফলে সেখানে দাম বাড়লে এ রাজ্যে তার প্রভাব পড়ছে বলেই জানাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। আপাতত ৭০-৮০ টাকা কলো প্রতি দাম হলেও, আগামী দিনে ১০০ টাকা কিলো ছুঁতে পারে দাম!

যদিও ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত আমদানির কড়াকড়ি শিথিল করছে কেন্দ্র। সরকার আশা প্রকাশ করেছে যে সম্ভবত শীঘ্রই বাজারে আসতে শুরু করবে পেঁয়াজ এবং এই দাম হয়তো কিছুটা হলেও কমবে।