“গরিবের থেকে বেশি নিই না”, ফোনপে থেকে ৩ হাজার হাতিয়ে বললো ছিনতাইবাজ

Date:

Share post:

ডিজিটাল অর্থনীতির সুফল ভোগ করছে গোটা দেশ। অটো ভাড়া থেকে মাছ-সবজির দোকান হোক কিংবা শপিং মল, সর্বত্রই ডিজিটাল লেনদেন। চোর-পকেটমারের হাত থেকে বাঁচতে কিংবা খুচরো সমস্যায় এখন মানিব্যাগ কম, টাকার লেদদেন হয় মোবাইলে।

আরও পড়ুন:চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট প্রকাশ,পেগাসাস আড়ি পেতেছিল প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর ফোনে

তবে ছিনতাইবাজদের থেকে এই ডিজিটাল যুগেও রক্ষা নেই। চুরি-ছিনতাইও এখন ডিজিটাইজ। এবার অভিনব কায়দায় টাকা হাতানোর ঘটনা ঘটল দক্ষিণেশ্বর মন্দির চত্বরে, বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠার মুখে। আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়েও নগদ টাকা মেলেনি এক বাইকআরোহীর কাছ থেকে। তাই প্রথমে পরনের জ্যাকেট, সিগারেটের প্যাকেট এবং শেষে “ফোনপে” অ্যাপ থেকে ৩ হাজার টাকা ছিনতাই করে দুই দুষ্কৃতী চম্পট দেয়। তারা হাসিমুখে জানিয়ে যায় “গরিব মানুষদের কাছ থেকে বেশি কিছু নিই না”!

এভাবেই ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন আগরপাড়ার বাসিন্দা সৌত্রিক চক্রবর্তী। পেশায় এক ট্রাভেল এজেন্সির মালিক। রাতে দক্ষিণেশ্বর থেকে বাড়ি ফেরার সময় ওই দুই ছিনতাইবাজের খপ্পরে পড়েন। ঘটনার পরপরই দক্ষিণেশ্বর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন সৌত্রিকবাবু। পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন গোটা বৃত্তান্ত—”বছরের শুরুতে এরমভাবে অপমানিত হব ভাবিনি। গত ২ জানুয়ারি রাতে বাড়ি ফেরার সময় রাস্তায় সশস্ত্র ছিনতাইবাজদের হাতে পড়েছিলাম। অনেক খুঁজে কিছু না পেয়ে জ্যাকেটটা নিয়ে চলে গেল। সঙ্গে ফোনপে থেকে ৩০০০ টাকা আর এক প্যাকেট সিগারেট। যাওয়ার সময় স্কুটি স্টার্ট দিয়ে আবার হেসে বলে গেল, আমরা গরিব মানুষদের থেকে বেশি কিছু নিই না”! এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম রাজীব গুঁই। উদ্ধার হয়েছে ৩ হাজার টাকা এবং জ্যাকেটটি।

ঠিক কী ঘটেছিল? সৌত্রিকবাবুর সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, “বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠার মুখে নির্জন রাস্তাতেই দু’জন স্কুটি নিয়ে দাঁড়িয়েছিল। রাত তখন ১১টা ৪০ মিনিট। আমাকে দেখে ওরা হাত নাড়ে। বাইক থামাতেই বলে, স্কুটি খারাপ হয়ে গিয়েছে। এখানে গ্যারাজ কোথায় বলতে পারবেন? লিফ্টও চায় একজন। আমি সাহায্য করতে চেয়েছিলাম। ততক্ষণে ওদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র বেরিয়ে পড়েছে। সেটা গায়ে ঠেকিয়ে আমাকে রাস্তার পাশে দাঁড় করায়। হুমকির সুরে টাকা বের করতে বলে। কিন্তু আমার কাছে নগদ ছিল না। তখন একজন আমার গায়ে থাকা নীল রঙের জ্যাকেট খুলে ফেলতে বলেন। আমি খুলে দিই। একজন মোবাইলটাও চায়। বাধা দেয় অন্যজন। বলে, মোবাইল বা বাইক নিলে পুলিসের কাছে ধরা পড়ে যাব। সেই নিয়ে ওদের মধ্যে খানিক বচসা হয়। পরে ফোনপে থেকে তিন হাজার টাকা নিয়ে স্কুটি চালিয়ে চলে যায়”।

 

spot_img

Related articles

রবীন্দ্র সরোবরের ছয় ক্লাবের সঙ্গে চুক্তি: সম্পূর্ণ আইনি পথে কর্পোরেশন

প্রায় পাঁচ দশক পর রাবীন্দ্র সরোবর চত্বরে অবস্থিত ছ’টি ক্লাবের সঙ্গে প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিক ভাড়ার চুক্তি করল কলকাতা...

বিহারে কমিশনের কারচুপি, তোপ অখিলেশের: ঘুরিয়ে কংগ্রেসকে কটাক্ষ ওমরের

বিহারে এসআইআর প্রয়োগ করে ভোটারদের ভোটাধিকার ছিনিয়ে নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কংগ্রেস-আরজেডির (RJD) মহাজোটের এটাই ছিল বিহার নির্বাচনের মূল...

বিহারের মুখ্যমন্ত্রী কে: ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট JD(U)-এর!

বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ২৪৩ টি আসনের মধ্যে বিজেপি ৮৯ আসনে জয়ী। নীতীশ কুমারের জেডিইউ জিতেছে ৮৫ টি আসন।...

জাদুসম্রাটের বাড়িতে বিয়ের আসর! বিজ্ঞাপন দেখে পাত্র পছন্দ মৌবনীর

জিনা বন্দ্যোপাধ্যায় জনে জনে বার্তা রুটি গেল ক্রমে, বিয়ে করছেন মৌবনী শীতের মরশুমে! মেয়ের জন্য বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন পিসি সরকার, সেখান থেকেই পাত্র...