প্রতিবাদী শিক্ষকের মৃ*ত্যুতে ডেবরায় উত্তে*জনা

দ্রুতগতিতে বাইক চালানোর প্রতিবাদ করে প্রা*ণ দিতে হল শিক্ষক লক্ষ্মীরাম টুডুকে। সোমবার সন্ধ্যায় ডেবরার শ্রীরামপুর এলাকায় ঘটনার সূত্রপাত। দ্রুতগতিতে বাইক চালানোয় প্রতিবাদ থেকে বচসা শুরু হলে এক যুবককে চড় মারেন এলাকার শিক্ষক লক্ষ্মীরাম টুডু। এর পরেই তাঁর উপর লোকজন নিয়ে চড়াও হয় ওই যুবক। শুরু হয় দু’পক্ষের তুমুল হা*তাহাতি, মার*পিট। যার পরিণামে চলে গেল শিক্ষকের জীবন। এই ঘটনায় পুলিশ গ্রে*ফতার করে দোষী তিনজনকে। তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ডেবরা এলাকায়।

জানা গিয়েছে, দু’পক্ষের মারামারিতে মারাত্মক আহত হন লক্ষ্মীরাম টুডু। আহত হয় অপর পক্ষের এক যুবক৷ তুমুল ঝামেলার খবর যায় ডেবরা থানায়। দ্রুত ডেবরা থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। লক্ষ্মীরাম টুডুকে ডেবরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে প্রথমে রেফার করা হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। সেখান থেকে পরে কলকাতায় রেফার করা হয়৷ সন্ধ্যায় খবর আসে কলকাতায় চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয়েছে শিক্ষক লক্ষীরাম টুডুর৷ সুমন ভুঁইয়া, অর্ঘ্য ভুঁইয়া ও রবি ভুঁইয়াকে গ্রেফতার করে মেদিনীপুর আদালতে তোলে পুলিশ। লক্ষ্মীরাম টুডু আদিবাসী সংগঠনের একজন নেতা ছিলেন। তাই সংগঠনের কর্মীদের মধ্যেও ক্ষোভের সঞ্চার হয়। বুধবার মৃতদেহ এলাকায় পৌঁছলে ক্ষুব্ধ মানুষ রাস্তায় বিক্ষোভ দেখান। ধৃত ও অভিযুক্তদের বাড়ি ভাঙচুর ও আগুন লাগানো হয়। পরিস্থিতি সামলাতে বিশাল পুলিশ বাহিনী মাঠে নামে। পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ।

আরও পড়ুন- রিং রোডের মাধ্যমে জুড়বে দক্ষিণবঙ্গ, হবে তৃতীয় হুগলি সেতু: ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

Previous articleশান্তিনিকেতনে গণধ*র্ষণের অভিযোগে ধৃত ২
Next articleENTREMIT-2023-এর প্রাক ইভেন্ট প্রেস কনফারেন্সে তরুণদের আত্মবিশ্বাসের বার্তা !