ডুরান্ডের নক আউটের কাছাকাছি ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান যাবে কীভাবে ?

প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ড্র করলেও, ডার্বিতে জেতার ফলে  আপাতত গ্রুপ ‘এ’র যা অবস্থা, তাতে নক-আউটের টিকিট পাওয়ার জন্য অন্য দলের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে না লাল-হলুদ শিবিরকে।

চলছে ডুরান্ড কাপ। ডুরান্ড কাপের ডার্বিতে মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট হেরে গেলেও নকআউটে যাওয়ার ক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে সবুজ-মেরুন শিবির। অন্যদিকে ডার্বিতে জিতে ডুরান্ড কাপের কোয়ার্টার-ফাইনালে ওঠার দৌড়ে ফেভারিট হয়ে উঠল ইস্টবেঙ্গল। আগামিকাল পাঞ্জাব এফসির বিরুদ্ধে জয় পেলেই কোয়ার্টারে কার্লোস কুয়াদ্রাতের দল।

প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ড্র করলেও, ডার্বিতে জেতার ফলে  আপাতত গ্রুপ ‘এ’র যা অবস্থা, তাতে নক-আউটের টিকিট পাওয়ার জন্য অন্য দলের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে না লাল-হলুদ শিবিরকে। শেষ ম্যাচে পাঞ্জাব এফসি-র বিরুদ্ধে জিতলেই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে ডুরান্ডের কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে যাবে। অর্থাৎ ডার্বি জিতে ফেভারিট হয়ে উঠলেও নক-আউটের টিকিট এখনও ‘কনফার্ম’ হয়নি ইস্টবেঙ্গলের।

অপরদিকে ডার্বি ম্যাচ ড্র করলেই ডুরান্ডের কোয়ার্টারে উঠে যেতে পারত মোহনবাগান। তবে সেই ম্যাচে হেরে গিয়ে অঙ্ক কিছুটা কঠিন করেছে জুয়ান ফেরান্দোর দল। এবার প্রশ্ন হল, কোন অঙ্কে কোয়ার্টার ফাইনালে যেতে পারবে দুই বড় দল? এবার ডুরান্ড কাপে মোট ছ’টি গ্রুপ করা হয়েছে। নিয়ম অনুসারে, প্রতিটি গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন দলগুলি সরাসরি কোয়ার্টারে উঠে যাবে। যে ছ’টি দল দ্বিতীয় স্থানে থাকবে, সেই দলগুলির মধ্যে সেরা দুটি দল পরের রাউন্ডে চলে যাবে। আগামিকাল রাউন্ডগ্লাস পাঞ্জাব এফসির বিরুদ্ধে জিতলে ইস্টবেঙ্গলের পয়েন্ট হবে সাত। অর্থাৎ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই ডুরান্ডের কোয়ার্টারে চলে যাবে ইস্টবেঙ্গল। পাঞ্জাব এফসির বিরুদ্ধে যদি ইস্টবেঙ্গল ড্র করে, তাহলে লাল-হলুদের পয়েন্ট দাঁড়াবে পাঁচ। সেক্ষেত্রে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাবে মোহনবাগান। তখন গ্রুপের দুটি সেরা দল হিসেবে কোয়ার্টারের টিকিট পাওয়ার আশায় থাকতে হবে।
তবে পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে হেরে গেলে লাল-হলুদের পক্ষে কোয়ার্টারে ওঠা বেশ কঠিন হয়ে যাবে।কারণ সেক্ষেত্রে রাউন্ডগ্লাস এবং ইস্টবেঙ্গলের পয়েন্ট সমান হবে। দুই দলই থাকবে চার পয়েন্টে। তখন দেখতে হবে কত গোলের ব্যবধানে হারল লাল-হলুদ। ইস্টবেঙ্গল যদি ০-৪ গোলে হেরে যায়, তাহলে গ্রুপের দ্বিতীয় স্থানও হাতছাড়া হয়ে যাবে। ডুরান্ড থেকেই ছিটকে যেতে হবে তাদের।

এদিকে ডুরান্ডের গ্রুপ পর্যায়ে মোহনবাগানের আর কোনও ম্যাচ বাকি নেই। তাই মোহনবাগানকে তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে। মাঠে নেমে আর কিছু করতে পারবে না তারা। মোহনবাগান চাইবে যে পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে হেরে যাক বা ড্র করুক ইস্টবেঙ্গল। তাহলে গ্রুপ শীর্ষে থেকেই মোহনবাগান কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে যাবেন জেসন কামিন্সরা। পাঞ্জাব এফসির বিরুদ্ধে ইস্টবেঙ্গল জিতে গেলে চাপ বাড়বে মোহনবাগানের। কারণ সেক্ষেত্রে ইস্টবেঙ্গলের পয়েন্ট দাঁড়াবে সাত। জুয়ান ফেরান্দোরা ছয় পয়েন্টেই আটকে থাকবেন। সেক্ষেত্রে দ্বিতীয় স্থানাধিকারী দলগুলির মধ্যে দ্বিতীয় সেরা হিসেবে ওঠার আশায় থাকতে হবে। মোহনবাগানের যেহেতু পয়েন্ট ছয়, তাই সেই দৌড়ে কিছুটা এগিয়ে থাকবে। কিন্তু কোনওটাই আর নিজেদের হাতে নেই। সবটাই নির্ভর করছে অন্য দলের উপর।

আরও পড়ুন:Breakfast Sports : ব্রেকফাস্ট স্পোর্টস