মাত্র ১০ ঘণ্টার ব্যবধানে ফের একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। এবারও সেই উত্তরপ্রদেশের এটাওয়া। দিল্লি দ্বারভাঙা এক্সপ্রেসে অগ্নিকাণ্ডের রেশ কাটতে না কাটতেই এবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলো দিল্লি থেকে বিহারের সহর্ষাগামী বৈশালী এক্সপ্রেসে। অগ্নিকাণ্ডের জেরে আহত হয়েছেন ১৯ জন যাত্রী। এভাবে একের পর এক ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে।

জানা গিয়েছে, গতকাল রাত ২টো নাগাদ এস-৬ কামরায় আগুন লেগে যায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই পুরো কামরায় আগুন ছড়িয়ে পড়ে। জখম হন ১৯ জন যাত্রী। যাদের মধ্যে ১১জনের আঘাত গুরুতর। রেলের লাগাতার প্রচেষ্টা সত্বেও আগুন নেভাতে প্রায় ১ ঘণ্টা সময় লাগে। যাত্রীদের তরফে জানা গিয়েছে, গতকাল রাতে ট্রেন স্টেশন ছাড়তেই ওই কামরায় আগুন লাগার বিষয়টি নজরে আসে। চিৎকার-চেচামেচির মধ্যেই চেন টেনে ট্রেন থামিয়ে নেমে পড়েন সকলে। তার কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই আগুনের গ্রাসে চলে যায় গোটা কামরাটি। খবর পেয়ে রেলকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছন। শুরু হয় আগুন নেভানোর কাজও। কিন্তু আগুন নেভাতে অনেকটাই সময় লাগে। ততক্ষণে ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে গোটা কামরাটি।

উল্লেখ্য, গতকাল নয়াদিল্লি-দ্বারভাঙা সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসের এস-১ কামরায় একইভাবে আগুন লেগে যায়। তাতে জখম হন ৮ যাত্রী। বারবার দুরপাল্লার ট্রেনে এই ধরণের ঘটনায়, রেলের নজরদারি ও যাত্রী নিরাপত্তা দুইই প্রশ্নের মুখে পড়েছে। গত ছয় মাসে এই নিয়ে পাঁচবার রেল দুর্ঘটনা ঘটল। এই বছর আগস্ট মাসে মাদুরাইতে একইভাবে একটি ট্রেনে আগুন লেগে প্রাণ হারিয়েছিলেন ১০ জন যাত্রী। বারবার এমন ঘটনা ঘটার পরও রেলের গাছাড়া মানসিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
