মুখে বিকাশের বুলি! বাজেটের আগে ফের মিথ্যাচার মোদির, পাল্টা প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা বিরোধীদের

‘সংসদ দেশবাসীর জন্য। কোনও রাজনৈতিক দলের জন্য নয়।’ সোমবার বাদল অধিবেশনের শুরুতেই সাংবাদিক সম্মেলনে সাফ জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। এদিন বিরোধীদের কাঠগড়ায় তুলে বাজেট অধিবেশন (Budget Session) অমৃতকালের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে বলে মত প্রধানমন্ত্রীর। সোমবার আর্থিক সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশ করবেন প্রধানমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। তার আগেই প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, দেশবাসীরা আমাদের দেশের জন্য পাঠিয়েছেন, দলের জন্য নয়। মোদি বলেন, আমার বিশ্বাস, সকল সাংসদরা সংসদকে সমৃদ্ধ করবেন। তবে মোদির এই মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে সরব তৃণমূল কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা। তৃণমূলের অভিযোগ, নিজের পিঠ বাঁচাতে বিরোধীদের কোর্টে বল ঠেলতে চাইছেন মোদি। দেশবাসী আর ভাঁওতাবাজিতে বিশ্বাসী নয়। নিট-সহ একের পর এক দুর্নীতি প্রমাণ করে দিয়েছে মোদির আচ্ছে দিনের আসল নমুনা। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পড়ুয়ারা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন। তাই অধিবেশনের শুরুতে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণকে একেবারেই গুরুত্ব দিতে নারাজ বিরোধীরা।

এদিন মোদি নাম না করেই সংসদ পরিচালনা নিয়ে বিরোধীদের বার্তা দিয়েছেন। রবিবার সর্বদলীয় বৈঠকে কংগ্রেস সহ বিরোধী দলগুলি বারবার দাবি জানায় সংসদে তাঁদের বলতে দিতে হবে। বিরোধীদের অভিযোগ, মোদির আগের দুই জমানার পুনরাবৃত্তি করা চলবে না। বিরোধীদের কণ্ঠরোধের চেষ্টা মানা হবে না। সোমবার সেই প্রসঙ্গে সংসদে প্রবেশের আগে মোদি বলেন, সংসদ দেশবাসীর জন্য। কোনও রাজনৈতিক দলের জন্য নয়। মোদি পরিষ্কার করে দিয়েছেন, সরকার যে বিষয়গুলিকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করবে, সেগুলিকেই সরকার আলেচনায় প্রাধান্য দেবে। বিরোধীদের বলার যে সুযোগ দেওয়া হবে না তা প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে একেবারেই পরিষ্কার। মোদি বলেন, আশা করছি, গণতন্ত্রের এই মন্দিরকে জনগণের আশা-প্রত্যাশা পূরণের জন্য ব্যবহার করা হবে।

এখানেই শেষ নয়, সকল রাজনৈতিক দলকেও বলব, আগামী ৪ বছর দলের ঊর্ধ্বে উঠে, দেশের জন্য সমর্পিত হয়ে এই মঞ্চে কাজ করি। ২০২৯ সালের জানুয়ারি মাসে যখন নির্বাচন হবে, তখন সংসদ ব্যবহার করুন, ৬ মাস যা খেলার খেলে নিন, কিন্তু তার আগে অবধি দেশের গরিব, যুব, কৃষক ও মহিলাদের সহযোগিতার জন্য কাজ করুন। তিনি মনে করিয়ে দেন, দেশবাসী নিজেদের মতামত জানিয়েছেন। এবার সাংসদ ও রাজনৈতিক দলগুলির দায়িত্ব হল, আগামী ৫ বছর দেশের জন্য লড়াই করা। এক হয়ে লড়াই করা। এছাড়াও মোদির বক্তব্যে উঠে আসে ভারতের অর্থনীতির দ্রুত বিকাশের প্রসঙ্গ। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিগত ৩ বছরে ৮ শতাংশ হারে বৃদ্ধি হয়েছে। মোদি মনে করিয়ে দেন ২০৪৭ সালে, যখন স্বাধীনতার ১০০ বছর হবে, তখন বিকশিত ভারতের মজবুত ভিত তৈরির লক্ষ্য নিয়েই আমরা বাজেট পেশ করব।


Previous articleসরকারি কর্মচারীদের আরএসএস করতে বাধা নেই! ৫৮ বছরের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার কেন্দ্রের
Next articleপ্রশ্নফাঁস হয়নি! শিক্ষামন্ত্রীর আজব দাবিতে উত্তাল লোকসভা, ধর্মেন্দ্রকে পদত্যাগের দাবি বিরোধীদের