বাংলায় অবৈধ ঘাঁটি, ভেস্তে দিল পুলিশ, বিএসএফের ফাঁক গলে পার নাবালিকার!

বাবা-মায়ের উপর রাগ করে ভারতে চলে আসে বলে যে দাবি ওই নাবালিকা করেছে তা স্পষ্ট করে দিচ্ছে বিএসএফের (BSF) ফাঁকফোঁকর

বাংলা-বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফের নজরদারি সঠিক হলে বাংলায় যে বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশকারীদের থাকা সম্ভব না, তা ফের একবার প্রমাণ করল রাজ্য পুলিশ। বিএসএফের (BSF) ফাঁক গলে কীভাবে নাবালিকাও বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে আসতে পারে তারও প্রমাণ মিলল। নদিয়ার কল্যাণী (Kalyani) থেকে গ্রেফতার করা হল দুই যুবককে। অন্যদিকে এনআরএস হাসপাতাল (NRS Hospital) এলাকা থেকে এক বাংলাদেশি নাবালিকাকে উদ্ধার করা হল অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের অপরাধে।

বাংলাদেশ থেকে বেআইনিভাবে ভারতে প্রবেশ ও থাকার অপরাধে বসিরহাট থানার (Basirhat police station) পুলিশ গ্রেফতার করেছিল সোহাগ মীর নামের যুবক। জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরেও সে বাংলাদেশে ফিরে যায়নি। ফের সেই অবৈধ বাসিন্দাকেই নদিয়ার কল্যাণী থেকে গ্রেফতার করল পুলিশ। তার সঙ্গে গ্রেফতার হল প্রণয় জয়ধর নামে আরেক যুবক। বাংলাদেশের এই বাসিন্দারও কোনও বৈধ ভারতীয় পরিচয়পত্র (identity proof) নেই। কল্যাণীর মুরাতিপুর এলাকা থেকে একটি ভাড়া বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এরপরই প্রশ্ন উঠেছে একবার ভারতীয় পরিচয়পত্র না থাকায় গ্রেফতার হওয়ার পরেও কীভাবে ভারতে এতদিন ছিলেন সোহাগ মীর।

পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে বসিরহাটে গ্রেফতার হওয়ার পরে জেলমুক্ত হয়ে কাশ্মীরে (Kashmir) চলে গিয়েছিল মীর। তা সত্ত্বেও কীভাবে ভারতীয় গোয়েন্দাদের নজর এড়িয়ে গেল এই ব্যক্তি। তবে বাংলার পুলিশের সজাগ দৃষ্টিতে লুকিয়ে ভারতে থাকা সেই মীর সহ আরও এক অবৈধ বাংলাদেশীকেও গ্রেফতার করল নদিয়া পুলিশ।

তবে বিএসএফের (BSF) নজরদারি এতটাই ব্যর্থ সীমান্তে নিরাপত্তা দিতে, যে সেই ফাঁক গলে এক বাংলাদেশের নাবালিকাও। বরিশালের বাসিন্দা ওই নাবালিকা তিন মাস আগে ভারতে আসে বলে সে জানায়। বাবা-মায়ের উপর রাগ করে ভারতে চলে আসে বলে যে দাবি ওই নাবালিকা করেছে তা স্পষ্ট করে দিচ্ছে বিএসএফের (BSF) ফাঁকফোঁকর। মুম্বই পর্যন্ত পালিয়ে গিয়ে পরিচারিকার কাজও সে করেছে বলে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে।