Sunday, August 24, 2025

দৃষ্টান্ত মুখ্যসচিব, গ্রামের মানুষের কাছে যান: BDO-সহ সরকারি আধিকারিক-জন প্রতিনিধিদের বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

Date:

Share post:

“মুখ্যসচিবকে দেখে শিখুন, কীভাবে মানুষের কাছে পৌঁছতে হয়”- মঙ্গলবার, মালদহে BDO-সহ সরকারি আধিকারিক ও জন প্রতিনিধিদের বার্তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)। সপ্তাহে একদিন গ্রামে গিয়ে বাসিন্দাদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলার পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রের বঞ্চনার প্রতিবাদেও সরব হন তিনি।

উত্তরবঙ্গ সফরে সোমবার প্রথমে মুর্শিদাবাদ যান। সেখান থেকে যান মালদহে (Maldah)। সঙ্গে রয়েছেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ (Manoj Panth)। মঙ্গলবার, মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভার আগে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ -সহ জেলার একাধিক সরকারি জায়গা পরিদর্শন করেন মুখ্যসচিব। এদিন, সভায় বক্তব্য রাখার সময় সেই ঘটনার উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “বিডিওদের বলছি, মুখ্য সচিবকে দেখে শিখুন। কীভাবে মানুষের কাছে পৌঁছতে হয়।”

আগেই সরকারি আধিকারিকদের মানুষের কাছে যাওয়ার কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। পরামর্শ দেন, গাড়ির কালো কাচ তুলে না ঘুরে হেঁটে এলাকায় যান। এদিনও এই প্রসঙ্গ তুলে মমতা বলেন, শুধু বিডিওদের বলছি তা নয়, সরকারি আধিকারিক থেকে জন প্রতিনিধি সকলকে যেতে হবে মানুষের কাছে।
আরও খবর: যাবজ্জীবনে প্যারোলে বেরিয়ে যায়! আর জি কর-কাণ্ডে সর্বোচ্চ সাজার দাবি মুখ্যমন্ত্রীর

কেন্দ্রের মোদি সরকারের বঞ্চনার বিরুদ্ধে সুর চড়ান মমতা (Mamata Banerjee)। বলেন, “কেন্দ্র আমাদের ১ লক্ষ ৬৫ হাজার কোটি টাকা দেয়নি। কোথা থেকে কাজ করব? তার মধ্যেও আমাদের কাজ থেমে থাকেনি। কন্যাশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী -সহ সব প্রকল্পের কাজ চলছে।”

সরকারি কাজে কোনও গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না বলে স্পষ্ট জানান মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, “সরকারি কাজে কোনও গাফিলতি বরদাস্ত করব না। মানুষের পরিষেবায় যেন কোনও সমস্যা না হয়। মানুষ কাজে গেলে ভাল ব্যবহার করুন। মানুষ যেন সরকারি পরিষেবার সুযোগ পান, এটা দেখতে হবে।” মালদহর প্রশাসনিক মঞ্চ থেকে একাধিক সরকারি প্রকল্পের পরিষেবা তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী।

spot_img

Related articles

পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্পে নাম নথিভুক্তি শুরু

পরিযায়ী শ্রমিকদের সুবিধার্থে এবার আরও এক পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচির আওতায় দুয়ারে সরকার শিবিরেও...

‘নিখুঁত ভুলগুলি’, উৎপল সিনহার কলম

একটা দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান হয়ে ওঠে ...একটি দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান...

ষোলতেই ১৩০ কেজি! ছেলের খাবার জোগাতেই নাজেহাল বাবা-মা

মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি থানার কাবিলপুর পঞ্চায়েতের মথুরাপুর গ্রাম। এখানেই থাকেন দিনমজুর মুনশাদ আলি। তাঁর ছোট ছেলে জিশান আলি...

কবে থেকে শুরু জয়েন্টের কাউন্সেলিং? দিনক্ষণ জানিয়ে দিল বোর্ড

ফলপ্রকাশের পর এবার ১৫ দিনের মধ্যেই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া তথা ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করবে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। এবার কাউন্সেলিং...