জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জে (Rajganj) নাবালিকা ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত ৩ দোষীর মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দিল জলপাইগুড়ির পকসো আদালত (POCSO Court)। বৃহস্পতিবারের এই রায়ে ৫ বছরের দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটল নির্যাতিতার পরিবারের। সুবিচার ও দ্রুত বিচারপ্রক্রিয়ার দৃষ্টান্ত হিসেবে উঠে এসেছে রাজ্য পুলিশ ও প্রশাসনের ভূমিকা। ঘটনাটি ঘটে ২০২০ সালের ১০ আগস্ট। জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জ ব্লকের বাসিন্দা এক নাবালিকা স্কুলছাত্রী নিখোঁজ হয়। পরদিন, অর্থাৎ ১১ আগস্ট, মেয়েটির পরিবার থানায় নিখোঁজ ডায়েরি দায়ের করে। কিন্তু কিছুদিন পর বাড়ি থেকে সামান্য দূরে একটি সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার হয় ছাত্রীর পচাগলা মৃতদেহ। তদন্তে নেমে জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ দ্রুত ৩ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে এবং জোরালো প্রমাণ ও সুনির্দিষ্ট সাক্ষ্যের ভিত্তিতে চার্জশিট পেশ করে আদালতে।

এদিন মোট ২৯ জন সাক্ষীর জবানবন্দি এবং অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনা করে, বিচারক ৩ অভিযুক্তকেই দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দেন। মামলাটির দ্রুত নিষ্পত্তি এবং নির্ভরযোগ্য প্রমাণ দাখিলের জন্য জেলা পুলিশ ও প্রশাসনের ভূমিকায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে আদালত। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Benerjee) ‘নারী নিরাপত্তা অগ্রাধিকার’ নীতির প্রতিফলন বলেই মনে করছে প্রশাসনিক মহল। জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ সুপার খান্ডবহালে উমেশ গনপত বলেন, “এই রায় রাজ্য পুলিশের কাছে এক প্রেরণা। আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ— কোনও অপরাধী যাতে আইনের ফাঁক গলে না বেরিয়ে যেতে পারে, তা নিশ্চিত করাই আমাদের দায়িত্ব।” এই মামলার রায় নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করল বলেই মনে করছে রাজ্য প্রশাসন ও মানবাধিকার সংগঠনগুলি। আরও পড়ুন : অসুস্থ কুকুরকে পিটিয়ে খুন! কল্যাণীতে প্রধান শিক্ষকসহ ধৃত ২

–

–

–

–

–

–

–

–

–
–
–
–
–