ছাব্বিশের নির্বাচনের আগে দল গোছাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন বিজেপির (BJP) নতুন রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য (Shamik Bhattacharjee)। এই কারণেই বেশ কিছুদিন বৈঠক না করে ঘরে বসে ছিলেন তিনি। কিন্তু এবার তাঁকে নতুন রাজ্য কমিটি গঠন করতেই হবে। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসে বঙ্গ বিজেপি। আরএসএস-এর সঙ্গেও সমন্বয়ে বৈঠক হচ্ছে। কিন্তু চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না রাজ্য সভাপতি। তার প্রধান কারণ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Shubhendu Adhikari) ও সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী (Amithabha Chakraborty)। শমীক যখন পুরনো বিজেপি নেতাদের সক্রিয় করে কাজে নামাতে চাইছেন, তখন এঁরা নিজেদের লবি গোছাতে ব্যস্ত। ফলে এদিনের বৈঠকে বিস্তর গোলমাল হলেও রাজ্য কমিটি গঠন করতে পারেননি শমীক।

বিজেপির (BJP) সূত্রে খবর, দীর্ঘ সময়ের বৈঠকে অনেক নাম নিয়েই আলোচনা হয়। রাজ্য সভাপতির পর দলের গুরুত্বপূর্ণ পদ সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন)। সেখানে পরিবর্তন হবে কিনা, তা ঠিক করবে আরএসএস। তবে সূত্রে খবর, এই পদে থাকা অমিতাভ চক্রবর্তী এবার বিধানসভায় প্রার্থী হতে চান। সেটা হলে, তাঁকে পদ ছাড়তে হবে। নতুন কাউকে বসানো হবে সেখানে। মহিলা মোর্চা সভানেত্রী হিসেবে রূপা গঙ্গোপাধ্যায় ও শশী অগ্নিহোত্রীর নাম উঠে আসে। যুব মোর্চা সভাপতি হিসেবে সুরঞ্জন সরকার ও তরুণজ্যোতি তিওয়ারি নাম নিয়ে আলোচনা হয় বলে সূত্রের খবর। সাধারণ সম্পাদক হিসাবে নাম উঠে এসেছে একদা সক্রিয় রীতেশ তিওয়ারি, রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়দের নাম যেমন শোনা যাচ্ছে তেমন সঞ্জয় সিং, জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, প্রবাল রাহা, লকেট চট্টোপাধ্যায়, জ্যোতির্ময় সিং মাহাতোদের থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে চারজন এই পদে বসতে পারেন।

গেরুয়া শিবিরের অন্দরের খবর, শমীক ভট্টাচার্য চান, দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) মতো নেতাকে আবার কোর কমিটিতে ফিরিয়ে আনতে। পুরনোদের দায়িত্ব বাড়াতে। কিন্তু তাতে বাধা দিচ্ছেন শুভেন্দু-অমিতাভরা। কারণ দল নয়, তাঁদের কাছে নিজেদের প্রতিপত্তিই শেষ কথা। সেই কারণে নিজেদের অনুগামীদের ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে চাইছেন তাঁরা। ফলে এতসব সামলে শমীক কবে বিজেপির নয়া কমিটি গঠন করতে পারেন তা নিয়ে এখন জল্পনা তুঙ্গে।

–

–

–

–

–

–

–