বাংলা ভাষা ও বাংলার সংস্কৃতিকে অপমানই কেন্দ্রের বিজেপি ও ডবল ইঞ্জিন রাজ্যগুলির একমাত্র লক্ষ্য। বারবার সেটা প্রমাণ হওয়ার পরে এবার বাঙালির দুর্গাপুজো নিয়েও রাজনীতির চেষ্টা। আর দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর সেই চেষ্টায় সপাট জবাব দিল্লির (Delhi) বাঙালিদের। দুর্গাপুজোর মণ্ডপে (Durgapuja pandal) কোনওভাবেই নরেন্দ্র মোদির ছবি (Narendra Modi image) তাঁরা রাখবেন না বলে জানিয়ে দিল কমিটিগুলি। দিল্লির বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীকে যে জবাব দিলেন প্রবাসী বাঙালিরা, তা শুধুমাত্র ট্রেলার, দাবি বাংলার শাসকদল তৃণমূলের।

বাংলায় দুর্গাপুজো থেকে অন্য সব পুজোয় না কি বাধা দেয় শাসকদল। নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহদের এই দাবিকে বারবার মিথ্যা প্রমাণ করে ইউনেস্কোর ইনট্যাঞ্জিবল হেরিটেজের তকমা পেয়েছে বাংলার দুর্গাপুজো। বাংলার মানুষের সেই উৎসবের স্বীকৃতিতে পুজো কমিটিগুলিকে আরও উৎসাহ দিতে সরকারি সাহায্যের ব্যবস্থা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আর্থিক সহযোগিতার পাশাপাশি রয়েছে বিদ্যুতের বিলেও ছাড়।

সেই বিদ্যুতের বিলে দিল্লির দুর্গাপুজোগুলিকে ছাড় দেওয়ার জন্য আজব ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা (Rekha Gupta)। প্রতি মণ্ডপে রাখতে হবে নরেন্দ্র মোদির ছবি (NArendra Modi image)। তবে দিল্লির বাঙালি পুজো কমিটিগুলি সাফ জানিয়ে দিল, দুর্গাপুজোর মণ্ডপে কোনও রাজনীতি ঢুকতে দেবেন না তাঁরা।

দিল্লির সবথেকে বড় পুজো, সি আর পার্ক কালীবাড়ির (C R Park Kalibari) পুজো কমিটি স্পষ্ট জানিয়েছে তারা নরেন্দ্র মোদির ছবি রাখবে না মণ্ডপে। মণ্ডপে শুধুমাত্র মায়ের মূর্তি থাকবে। এর পাশাপাশি দিল্লির একাধিক বাঙালি পুজো কমিটি জানিয়েছে কোনওভাবেই তাঁরা পুজো মণ্ডপে বিজেপির আনা রাজনীতি ঢুকতে দেবেন না।

আরও পড়ুন: গুজরাটে এত দামি ফুচকা! তাতে আবার কম পেয়ে পথ অবরোধ মহিলার

পুজো কমিটিগুলির এই সিদ্ধান্তের পরই তৃণমূলের তরফ থেকে কটাক্ষ, প্রতিক্রিয়া অত্যন্ত দ্রুত এবং সম্পূর্ণ ক্ষমাহীন। পুজো আয়োজকরা কেউ মাথা নত করতে চায়নি, পুজো মণ্ডপকে বিজেপির পিআর প্রচারের মঞ্চ তৈরি করার প্রচেষ্টাকে সর্বসমক্ষে উড়িয়ে দিয়েছে। বিজেপি যেটাকে নিজেদের বিজয়ের পথ হিসাবে দেখাতে চেষ্টা করেছিল, সেটাই তাদের সম্মানহানি করে রেখে দিল। ২০২৬-এর এটা শুধুমাত্র একটা ট্রেলার। একটা দল যারা বাংলার অপমান করে, বাঙালির উপর অত্যাচার চালায়, বাঙালির ঈশ্বরকে অপবিত্র করার চেষ্টা করে, তারা বাংলায় তাদের বিদায় ঘণ্টা বাজিয়ে ফেলেছে।

–

–

–

–


