আজ মহালয়া (Mahalaya)। পিতৃপক্ষের শেষ দিনে পূর্বপুরুষকে জল নিবেদনে ভোর থেকেই গঙ্গার বিভিন্ন ঘাটে ঘাটে ভিড়। শাস্ত্রমতে মহালয়া তিথিতে প্রয়াত পূর্বপুরুষের উদ্দেশ্যে তর্পণের রীতি পালন পঞ্চ মহাযজ্ঞের অন্যতম বিধান। এই অমাবস্যা তিথিতে দেবীর আগমনের সূচনাও হয়ে যায়। কারণ ধর্মীয় ব্যাখ্যায় মহালয়ার দিন মা দুর্গার চক্ষুদানের কথা উল্লেখ রয়েছে। অন্যান্য বছরের মতো এবারেও দিনটি শুভ না অশুভ সেই তর্কের দ্বৈরথে ব্যস্ত সোশ্যাল মিডিয়া। অন্যদিকে তর্পণের ভিড়ে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেই কথা মাথায় রেখে বাগবাজার থেকে বাবুঘাট, শোভাবাজার থেকে শিবপুর রামকৃষ্ণপুর ঘাট সর্বত্রই অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

মহালয়ার সঙ্গে দুর্গাপুজোর (Durga Puja) সরাসরি কোনও যোগসূত্র নেই। যদিও বিশ্বাস করা হয় এই দিনই অসুর বধের জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছিলেন দেবী মহামায়া। এই তিথি আসলে পিতৃতর্পণের কারণেই তাৎপর্যপূর্ণ। যদিও ঠিক ভোর চারটের সময় বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কন্ঠে চণ্ডীপাঠ, বাণী কুমারের স্তোত্র রচনা ও পঙ্কজ কুমার মল্লিকের সুরারোপিত ‘মহিষাসুরমর্দিনী’ সেই কবে থেকেই মহালয়া আর দুর্গাপুজোর মধ্যে সুদৃঢ় বন্ধন তৈরি করে দিয়েছে। রবিবাসরীয় সকালে ভিড় বাড়ছে কুমোরটুলি চত্বরে। মহালয়ার কথা মাথায় রেখে আজ ভোর ৩টে থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত কলকাতায় পণ্যবাহী যান প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ব্যতিক্রম জরুরী পরিষেবার গাড়ি। রাত বারোটা ষোলো মিনিটে মহালয়া তিথি শুরু হয়েছে, চলবে ২২ সেপ্টেম্বর রাত ১টা ২৩ মিনিট পর্যন্ত। এরপরই মাতৃপক্ষ শুরু হবে।ভোর থেকে এখনও পর্যন্ত কোথাও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনার খবর মেলেনি। রিপোর্ট ট্রাফিক পুলিশ টহল দিচ্ছে গঙ্গায়। কড়া নজরদারি কলকাতা পুলিশেরও (Kolkata Police)।

–

–

–

–

–

–

–

–