ফের বলিউডের (Bollywood) টিনসেল টাউনে দুঃসংবাদ। প্রয়াত জনপ্রিয় কমেডিয়ান (Comedian) অভিনেতা সতীশ শাহ (Satish Shah)। বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। কিডনি (Kidney) বিকল হয়েই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে হাসপাতাল (Hospital) সূত্রে খবর। বাড়িতে আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত তাঁকে মুম্বইয়ের হিন্দুজা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। যেখানে মৃত্যু হয় সতীশ শাহের।

আসরানি, পঙ্কজ ধীরের প্রয়াণের শোকের আবহ কাটতে না কাটতেই শনিবার বিকেলে না ফেরার দেশে চলে গেলেন সতীশ শাহ (Satish Shah)। আপামর ভারতীয় টেলিদর্শকের কাছে যিনি ‘সারাভাই’ বলেই পরিচিত। ৪০ বছরের পুরনো বন্ধুকে হারিয়ে শোকস্তব্ধ জনি লিভার।

দীর্ঘ দিন ধরেই কিডনির সমস্যায় কষ্ট পাচ্ছিলেন সতীশ শাহ। সম্প্রতি অস্ত্রোপচারও (Operation) হয়েছিল তাঁর। তবে শেষরক্ষা হল না। আপাতত তাঁর দেহ রাখা হবে হাসপাতালেই। অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া হবে রবিবার।

সতীশের মৃত্যুর পর, তাঁর এক্স হ্যান্ডেলের (X Handle) শেষ পোস্টটি সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। মৃত্যুর ঠিক একদিন আগে, সতীশ প্রয়াত শাম্মি কাপুরের একটি ছবি শেয়ার করে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়েছেন। ছবির সঙ্গে অভিনেতা লেখেন, “শুভ জন্মদিন প্রিয় শাম্মি জি। আপনি সবসময় আমার পাশে আছেন।”

সতীশের অভিনয় জীবন প্রায় দীর্ঘ চার দশকের। তিনি পরিচিতি পান ‘জানে ভি দো ইয়ারোঁ’ ছবির (Film) মাধ্যমে। তাঁর অভিনীত চরিত্র এখনও চর্চিত। কুন্দন শাহ-মঞ্জুল সিনহা পরিচালিত ‘ইয়ে জো হ্যায় জিন্দেগি’-র ৫৫টি পর্বে ৫৫টি ভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করার জন্য সর্বাধিক পরিচিতি পান সতীশ। সূরজ বরজাতিয়া থেকে রাকেশ রোশন, ফারহা খান-সহ বলিউডের তাবড় পরিচালকের সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি। সলমন খানের প্রথম ছবি ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’র থেকে শুরু করে ‘হম আপকে হ্যায় কৌন’, ‘হম সাথ সাথ হ্য়ায়’- একাধিক পারিবারিক ছবিতে পার্শ্বচরিত্র হিসেবে অপরিহার্য ছিলেন সতীশ। এ ছাড়াও ‘কহো না পেয়ার হ্যায়’ ছবিতে হৃতিক রোশনের বাড়িওয়ালা হোক বা ‘ম্যায় হুঁ না’-র অধ্যাপক-সর্বত্র নিজের অভিনয় দক্ষতার ছাপ রেখেছেন সতীশ। ২০১৫-তে তিনি ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া সোসাইটির সদস্য হন।

–

–

–

–
–


