এসআইআর (SIR Tension) আতঙ্কে মৃত্যু-মিছিল বেড়েই চলেছে। সোমবার ফের একদিন তিনজনের মৃত্যু হল রাজ্যে। হাওড়া, নদিয়া এবং পুরুলিয়ায় এসআইআরের আতঙ্কে প্রাণহানির ঘটনা সামনে এসেছে। শুনানি চলাকালীন একের পর এক ভোটারের মৃত্যুর খবর উদ্বেগ বাড়াচ্ছে রাজ্যে। এর মধ্যে নদিয়ার কল্যাণীতে শুনানি থেকে আসার পরই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় অশীতিপর বৃদ্ধার। পুরুলিয়ায় পারায় এবং হাওড়ার উলুবেড়িয়ায় এসআইআরে শুনানি প্রক্রিয়া চলাকালীন প্রবল মানসিক চাপে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন দুই ভোটার।

এদিন পুরুলিয়ায় পারা বিধানসভা কেন্দ্রের আনাড়ায় চৌতালা গ্রামের বাসিন্দা দুর্জন মাঝি (৮২)-র উপস্থিত থাকার কথা ছিল এসআইআর শুনানিতে। কিন্তু এসআইআর শুনানিতে না গিয়ে তিনি রেললাইনে আত্মহত্যা করেন বলে অভিযোগ। তাঁর স্ত্রী ও ছেলে জানান, তিনি এই শুনানি নিয়ে প্রচণ্ড মানসিক চাপে ছিলেন। সকালে তিনি একটি টোটো খুঁজতে বেরিয়েছিলেন, কিন্তু কোনো টোটো খুঁজে পাননি। সময়মতো শুনানির স্থানে পৌঁছতে পারবেন না এই আশঙ্কায় তিনি আত্মহত্যা করেন। তাঁর গ্রামের কাছে রেললাইন থেকে দেহ উদ্ধার হয়। মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে পাশে থাকার আশ্বাস দেন পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি নিবেদিতা মাহাতো, সহ-সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ অন্যান্য তৃণমূল নেতৃত্ব।

নদিয়ার কল্যাণীতে শুনানির নোটিশ পাওয়ার পর থেকেই দুশ্চিন্তায় ছিলেন জহরলাল মাহাতো। ২৭ ডিসেম্বর অসুস্থ শরীর নিয়েই শুনানি কেন্দ্রে যান বছর ৭২-এর ওই বৃদ্ধ। বাড়ি ফিরে এসে আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে পরিজনদের দাবি। তারপরই মৃত্যু হয় তাঁর। হাওড়ার আমতার সাবসিটের বাসিন্দা শেখ জামাত আলি (৭০) আতঙ্কে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন বিধায়ক সুকান্ত পাল। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ পেয়েই তিনি মৃতের পরিবারের পাশে দাঁড়ান। আরও পড়ুন: বেহালাতে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডার মধ্যেই গুলিবিদ্ধ যুবক
–

–

–

–

–

–

–


