চীনের বিরুদ্ধে ব্যাপক সংঘাতে হংকং! কারণ জানেন?

চীনের অধীনে থাকা হংকংয়ে লাগাতার বিক্ষোভ চলছে। ধীরে ধীরে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠছে পরিস্থিতি। পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হচ্ছে। বিক্ষোভকারীদের গ্রেফতার করার পাশাপাশি পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ছে, জল কামান ব্যবহার করছে। পরিস্থিতি যেভাবে এগোচ্ছে, তাতে দ্রুত কোনও সমাধানের আশা দেখা যাচ্ছে না।

এই বিক্ষোভের ক্ষেত্রে চীন শুরুর দিকে যেন নীরব থাকার নীতি নিয়েছিল। কিন্তু দিন যতই গড়িয়েছে, বিক্ষোভ যখন হিংসার দিকে এগিয়েছে, তখন বেইজিং এই বিক্ষোভে ‘পশ্চিমাদের মদদ’ রয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে। চীনের গণমাধ্যম ওয়েইবু, উইচ্যাটে বেইজিংয়ের পক্ষে নানা বার্তা ছড়াচ্ছে; এমনকি হংকংয়ের বিক্ষোভকারীদের মনে করিয়ে দেওয়া হচ্ছে চীনের শক্তিশালী সামরিক বাহিনীর কথাও। চীন সরকারও সরাসরি অভিযান চালানোর সতর্কবার্তা দিয়েছে।

আরও পড়ুন-মেক্সিকোর পানশালায় বন্দুকবাজের হামলা, নিহত কমপক্ষে 26

বিক্ষোভের শুরুটা হয় প্রস্তাবিত নতুন প্রত্যর্পণ আইন নিয়ে। গত বছর এক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নতুন প্রত্যর্পণ আইন প্রণয়নে উদ্যোগী হয় হংকং। হংকংয়ের এক ব্যক্তি বান্ধবীকে নিয়ে ছুটি কাটাতে তাইওয়ানে যান। অভিযোগ উঠেছে, ওই ব্যক্তি তাইওয়ানে তার অন্তঃসত্ত্বা বান্ধবীকে হত্যা করে হংকংয়ে পালিয়ে আসেন। কিন্তু হংকংয়ের সঙ্গে তাইওয়ানের প্রত্যর্পণ চুক্তি নেই বলে ওই ব্যক্তিকে বিচারের জন্য সেখানে পাঠানো যাচ্ছে না। ওই ব্যক্তি এখন হংকংয়ের কারাগারে আছেন। তিনি বান্ধবীকে হত্যার কথা স্বীকারও করেছেন।

প্রস্তাবিত ওই প্রত্যর্পণ আইন পাস হলে চীন, তাইওয়ান ও ম্যাকাওয়ে কোনও মামলায় অভিযুক্ত কাউকে প্রত্যর্পণের আহ্বান জানালে সেটা মানতে হবে হংকং কর্তৃপক্ষকে। এটাই হংকংয়ের জনগণের মধ্যেও ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। তাঁদের মতে, এই আইনের মাধ্যমে হংকংয়ের বিচারব্যবস্থাই হুমকির মুখে পড়বে। হংকংয়ের ওপর চীনের প্রভাব বাড়বে। হংকংয়ের যেকোনো ব্যক্তিকে শায়েস্তা করতে চীন এই আইন ব্যবহার করবে।

তবে হংকং সরকার বলছে, আইনটিতে নাগরিকদের সুরক্ষার বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। আইনের পক্ষে সরকারের যুক্তি হলো, এমন আইন না হলে হংকং পলাতক অপরাধীদের আখড়ায় পরিণত হবে।

আরও পড়ুন-তেলেঙ্গানা এক্সপ্রেসে আগুন!

 

Previous articleকৃষ্ণ গোয়ালা- রাম ক্ষত্রিয় হলে শিব কেন বিন্দ নয়? প্রশ্ন বিহারের মন্ত্রীর
Next articleসাত সকালে বিকট আওয়াজ! বিস্ফোরণে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়লো তৃণমূল নেতার বাড়ি