উত্তেজক ম্যাচ হলেও মরশুমের প্রথম ডার্বি গোলশূন্য

ছবি - প্রকাশ পাইন

রাজনৈতিক মহলের চর্চার বিষয় যখন শোভন-বৈশাখী, আবার এদিকে হঠাৎ করে উঠে আসা রানু মন্ডল যখন সকলের মুখে মুখে ফিরছিল, তখন ডার্বির আবেগে ভাসল গোটা শহর। সকলের সব আলোচনা-পর্যালোচনাকে দূরে রেখে গত দু’দিন ধরে খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে মরশুমের প্রথম ডার্বি। কি নেই ডার্বির ইতিহাসে? কখনও ইস্টবেঙ্গলের জয়, তো কখনও মোহনবাগানের জয়, আবার কখনও সকলকে হতাশ করে ম্যাচ ড্র। এটাই চিরাচরিত চেহারা কলকাতার ডার্বির। তবে রবিবাসরীয় যুবভারতীতে 368তম ডার্বি যে ড্র হবে, তা বোধ হয় কেউই ভাবতে পারেনি।

আরও পড়ুন-EXCLUSIVE: সুব্রত ভট্টাচার্যের কথায় উঠে এল ডার্বি নিয়ে আবেগের অভাব

ম্যাচের শুরু থেকেই ভীষণভাবে সাবলীল ও ঝকঝকে মনে হয়েছিল ইস্টবেঙ্গলকে। আর হবে নাই বা কেন? শতবর্ষের আবেগে ভাসছে মশাল বাহিনী। তাই আলাদা উদ্দীপনা চোখে পড়ছিল লাল-হলুদ ফুটবলার থেকে সমর্থকদের মধ্যেও। কিন্তু সব উদ্দীপনা, উত্তেজনায় কেমন যেন জল ঢেলে দিল ডার্বির ফলাফল। 100 বছর অনেক আগেই পেরিয়ে গিয়েছে পড়শি ক্লাব মোহনবাগান। তাই শতবর্ষের কোনও উদ্দীপনা আলাদা করে আর নেই। শতাব্দীপ্রাচীন ক্লাব এগোচ্ছে দেড়শোর দিকে। তবে শতবর্ষের কোনও আবেগ ইস্টবেঙ্গলের মতন না থাকলেও অভিজ্ঞ মোহনবাগান নিজেদের জেতার জন্য যথেষ্ট রসদ আগে থেকেই ঘরে তুলেছিল।

বিদেশি কোচ, বিদেশি ফুটবলারে সুসজ্জিত ছিল সবুজ-মেরুন ব্রিগেডও। কিন্তু দুই দলের কোনও প্ল্যানিং যেন যুবভারতীর মাঠে ধোপে টিকল না। অবশেষে গোলশূন্য থেকেই মাঠ ছাড়তে হল ইস্ট-মোহনকে। ফলে হতাশ হয়েই গ্যালারি থেকে বেরিয়ে আসেন দুই দলের সমর্থকেরা।

আরও পড়ুন-মহামেডানের কোচের পদ খোয়ানো নিয়ে নিজের ক্ষোভ উগরে দিলেন সুব্রত

ম্যাচের শুরু থেকেই মুর্হুর্মুহু আক্রমণে যায় মোহনবাগান। কিন্তু, ফাইনাল থার্ডে ভুল পাসিং এবং স্ট্রাইকারদের ব্যর্থতার জেরে গোল পায়নি সবুজ মেরুন। দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য কিছুটা কামব্যাক করে ইস্টবেঙ্গল। কয়েকটি সুযোগও পায় লাল-হলুদ। দ্বিতীয়ার্ধের শেষের দিকে সহজ সুযোগ পেয়েও দেবজিতের দক্ষতার কাছে হার মানতে হয় পিন্টু প্রধানকে। শেষদিকে, আবার পালটা আক্রমণ শুরু করে মোহনবাগান। কিন্তু, ইস্টবেঙ্গলের রক্ষ্মণের দেওয়াল ভাঙা সম্ভব হয়নি।

এদিন সবাইকে খানিকটা অবাক করে দিয়েই কোলাডোকে বাইরে রেখে দল সাজিয়েছিলেন আলেজান্দ্রো। বদলে, দলে সুযোগ পান আনকোরা মার্কোস। অন্যদিকে মোহন কোচ ভিকুনা প্রথম একাদশে রাখেননি দলের একমাত্র বিদেশি স্ট্রাইকার চামারোকে। আসলে, তিনি চাইছিলেন দ্বিতীয়ার্ধে মরণ-কামড় দিতে। কিন্তু তাতে খুব একটা লাভ হল না। অবশেষে গোলশূন্য হয়েই মরশুমের প্রথম ডার্বি শেষ হল।’ম্যান অফ দ্য ম্যাচ’ হয়েছেন মোহনবাগানের জোসেফ বেতিয়া।

মোহনবাগান অফিসিয়াল থেকে সংগৃহীত

আরও পড়ুন-একনজরে কলকাতা ডার্বির সাতকাহন

Previous articleমহামেডানের কোচের পদ খোয়ানো নিয়ে নিজের ক্ষোভ উগরে দিলেন সুব্রত
Next articleপ্রবাদপ্রতিম ফুটবলার শৈলেন মান্নার 96তম জন্মবার্ষিকী পালন