সন্ময় গ্রেপ্তার, দুই তরফেই যুক্তির তরজা চলছে

সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ্যমন্ত্রীসহ রাজ্য সরকার ও শাসক দলের লাগাতার সমালোচনার জেরে গ্রেফতার কংগ্রেস নেতা সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় এখন পুরুলিয়ায় পুলিশ হেপাজতে। কাগজেকলমে জেরা চলছে। আর এনিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে।

কংগ্রেস, বিজেপি, বামেদের বক্তব্য সরকারের সমালোচনা করায় কন্ঠরোধের চেষ্টা হচ্ছে। দরকারে মানহানির মামলা হতে পারত। তার বদলে পুলিশ দিয়ে হেনস্থা করা হচ্ছে।
পুরুলিয়ায় তৃণমূলের এক যুবনেতার অভিযোগের ভিত্তিতে গেপ্তার সন্ময়। আইপিসি 465, 469, 500,504, 505(1), IT act 66 ধারায় মামলা হয়েছে। আদালত দুদিনের পুলিশ হেপাজত দিয়েছেন।

বিরোধীরা কন্ঠরোধের তত্ত্বে প্রতিবাদ করছেন। আবার উল্টোমত হচ্ছে, সুবক্তা সন্ময় যে ধারাবাহিক সমালোচনা করছিলেন, তাতে যত না তথ্য, তার থেকে বেশি বিশেষণ। এমনকি চারপাশে সাধারণ আলোচনার বিষয়গুলিও তিনি খবরের ভঙ্গিতে উপস্থাপন করছিলেন। ফলে বিষয়টি শুধু সরকারের সমালোচনায় সীমাবদ্ধ থাকছিল না। এই জন্য শাসকদলের সমর্থকরা নির্দিষ্ট আইনে পুলিশে অভিযোগ শুরু করেন। যদিও একাংশের মতে, পুলিশি অভিযানে বাড়তি প্রচারের সুবিধে পেয়ে গেলেন সন্ময়। তিনি এরপর বিশেষণ বা যাচাই না করা তথ্য বাদ দিয়েও যদি সাধারণ উপস্থাপনা করেন, তাতেও লাভ পাবেন। এখন দেখার বিষয় শুধু পুরুলিয়ার মামলায় এই অভিযান শেষ হয় নাকি আরও মামলা যুক্ত হয়? একাংশ এটাও বলছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় যার যা ইচ্ছে বলে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। তার অপব্যবহার করাও অনুচিত। এক একটি ধারণার উপর দাঁড়িয়ে পরিকল্পিত প্রচার চটজলদি দর্শক পেলেও তার নেতিবাচক দিক ভেবে আরও দায়িত্বশীল হওয়া উচিত। সন্ময়ের বক্তব্যে মাঝেমধ্যেই এই গন্ডি অতিক্রম করে স্পষ্ট রাজনৈতিক উদ্দেশ্য দেখা গিয়েছে। তিনি বিশেষণগুলি এবং ধারণাপ্রসূত বিষয়গুলি এড়িয়ে তথ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে সমস্যা এত জটিল হত না। NM

Previous articleযেন ‘খাকি’র ঐশ্বর্য, দেবাঞ্জনের খুনিকে গতিবিধি জানাচ্ছিল প্রেমিকাই?
Next articleহাসপাতাল থেকে বাড়িতে, আপাতত বিশ্রামে অমিতাভ