মহারাষ্ট্রে ম্যাজিক ফিগার ছুঁয়েও চিন্তায় গেরুয়া শিবির

সমীক্ষায় ইঙ্গিত ছিলই। সেই মতো মহারাষ্ট্রে কংগ্রেস-এনসিপি জোটকে পিছনে ফেলে জিতল বিজেপি-শিবসেনা জোট। তবে সেই হাওয়ায় বিজেপির দাপট বেশ কিছুটা কম। প্রভাব বাড়ছে শিবসেনার। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, আড়াই বছর করে দু’দলের মুখ্যমন্ত্রী করার প্রস্তাবও দিতে পারে শিবসেনা। এদিকে, বিজেপির কপালে চিন্তার ছাপ ফেলেছে কংগ্রেস-এনসিপি জোট। তাদের আসন সংখ্যা বেড়েছে।

এর পরিস্থিতিতে মহারাষ্ট্রে ক্ষমতার রাশ কার হাতে থাকবে? তা নিয়ে চাপ-পাল্টা চাপের খেলা চলতে পারে। নিজেদের আসন সংখ্যা কমে যাওয়া এবং বিরোধীদের আসন সংখ্যা বৃদ্ধি হওয়ায় শিবসেনার প্রস্তাব সহজে ফেলতে পারবে না বিজেপি। এরমধ্যে এনসিপির সঙ্গে শিবসেনা জোটে যেতে পারে বলেও ইঙ্গিত মিলিছে। তবে সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়ে শিবাসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত বলেন, বিজেপি-শিবসেনা জোটই সরকার গড়ছে।

এই পরিস্থিতিতে মহারাষ্ট্র বিধানসভায় নির্বাচনের ফল কী, যার জোরে দর বাড়াচ্ছে শিবসেনা? মোট আসন সংখ্যা ২৮৮। গণনার শেষে দেখা যাচ্ছে, বিজেপি-শিবসেনা জোটের ঝুলিতে যাচ্ছে ১৫৯টি আসন। এর মধ্যে এখনও পর্যন্ত বিজেপি পেয়েছে ৯৭টি। কংগ্রেস-এনসিপি জোট পেয়েছে ৯৯।

আগের বারের বিধানসভা ও লোকসভা ভোটের ফলের প্রেক্ষিতে এবার ভোটের আগে কম আসনে প্রার্থী দেওয়ার শর্তে জোটে রাজি হয় শিবসেনা।
কিন্তু এবার আসন কমছে বিজেপির। তবে, শিবসেনা আসন সংখ্যা ধরে আছে। এই পরিস্থিতিতে বিজেপি তাদের দাবি না মানলে, বিরোধী জোটে সামিল হতে পারে শিবসেনা। সেক্ষেত্রে ক্ষমতা হাতছাড়া হবে গেরুয়া শিবিরের। এখন আঞ্চলিক দল হিসেবে শিবসেনাই ‘কি ফ্যাক্টর’ হয়ে উঠতে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞ মহলের।

আরও পড়ুন-বিজেপির একমাত্র পুঁজি “ধর্ম” এবার কাজে আসেনি, দাবি সোমেনের

 

Previous articleবঙ্গবিজয় এক অলীক স্বপ্ন
Next articleপ্রয়াত বিশিষ্ট চিকিৎসক বেচারাম সাধুখাঁ