সিপিআই-এর প্রাক্তন সাংসদ গুরুদাস দাশগুপ্তের জীবনাবসান

প্রয়াত সিপিআই-এর প্রাক্তন সাংসদ গুরুদাস দাশগুপ্ত। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা নাগাদ নিউটাউনের একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। লোকসভা এবং রাজ্যসভা মিলিয়ে তিনি পাঁচবারের সাংসদ ছিলেন। সংসদের বিভিন্ন অধিবেশনে বিতর্কে অংশ নেওয়ার জন্য এবং যুক্তি দিয়ে বিরোধীদের যুক্তি খণ্ডন করার ক্ষেত্রে গুরুদাস দাশগুপ্তের গোটা দেশের রাজনৈতিক মহলে সুনাম ছিল।

ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিলেন গুরুদাসবাবু। ১৯৮৫ সালে প্রথমবারের জন্য রাজ্যসভার সাংসদ নির্বাচিত হন তিনি। সিপিআই-এর শ্রমিক সংগঠন এআইটিআইসির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন ২০০১ সালে। ২০০৪ সালে ১৪ তম লোকসভায় পাঁছকুড়া থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। ১৫ তন লোকসভায় ঘাটাল থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। মনমোহন সিং প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন টুজি কেলেঙ্কারি নিয়ে তদন্তে যুগ্ম সংসদীয় কমিটির সদস্যও ছিলেন তিনি।

বার্ধক্যজনিত কারণে দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন গুরুদাস দাশগুপ্ত। চেতলার বাসভবনে হাঁটতে গিয়ে পড়ে গিয়েছিলেন তিনি। তখন বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। জানা গিয়েছিল, মাইল্ড স্ট্রোক হয়েছিল তাঁর। এছাড়াও শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা এবং হৃদযন্ত্রের সমস্যাও ছিল।

গুরুদাস দাশগুপ্তের জন্ম ১৯৩৬ সালে, বাংলাদেশের বরিশালে। বাবার নাম দুর্গাপ্রসন্ন দাশগুপ্ত এবং মায়ের নাম নীহারদেবী। প্রথমে কলকাতার আশুতোষ কলেজ থেকে তিনি স্নাতক হন। এরপর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম কম পাস করেন গুরুদাস দাশগুপ্ত। ১৯৬৫ সালে জয়শ্রী দাশগুপ্তের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়।

গুরুদাস দাশগুপ্তর মত একজন নিষ্ঠাবান ও সৎ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে রাজনৈতিক মহলে। তাঁর মৃত্যুতে বাংলা রাজনীতির একটি যুগের অবসান ঘটল।

Previous articleব্রেকফাস্ট স্পোর্টস
Next articleভেঙে পড়ল মুর্শিদাবাদের বহালগ্রাম, ফিরহাদের সান্ত্বনা