এ যেন জোর করে নিজের দিকে ঝোল টেনে কথা বলা। মঙ্গলবার, নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, প্রয়োজনে অন্য আর কারও কাছে যাওয়ার দরকার নেই। যে কোনও সমস্যায় রাজ্যের নির্বাচিত সরকারের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতার ওই বক্তব্য নিয়ে বুধবার, জগদীপ ধনকড় নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে লিখেন, এই মন্তব্যের প্রকৃত অর্থ বুঝতে চাইছেন তিনি।
@MamataOfficial. Making an earnest effort to read between the lines. All my actions as Governor and Chancellor are as scripted in the Constitution and Acts of Universities. https://t.co/U4eMQzRy2l
— Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) November 6, 2019
কিন্তু কেন রাজ্যপাল এই বিষয়টির মধ্যে নিজেকে জড়াচ্ছেন? মুখ্যমন্ত্রী তো কারও নাম করে কিছু বলেননি।
আরও পড়ুন – সরকার গড়ার দাবিতে কাল রাজভবনে যাচ্ছে বিজেপি
রাজ্যের বেশির ভাগ সরকারি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই আচার্য রাজ্যপাল। সেই ‘আলংকারিক’ পদে থেকেও দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ধনকড়কে বিভিন্ন বিষয়ে সক্রিয় হতে দেখা যাচ্ছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র নিগ্রহের ঘটনায় রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে চাপানউতোর হয়। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে ডি-লিট প্রাপকদের নাম ঘোষণা নিয়েও মতামত দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, সেই কারণেই হয়ত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যকে গুরুত্ব দিচ্ছেন রাজ্যপাল।
দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই রাজ্যপালের ‘অতিসক্রিয়তা’ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তবে, জগদীপ ধনকড় বারবারই বলেন, তিনি অতিসক্রিয় নন, সক্রিয়। তবে, এদিনে তাঁর টুইট ঘিরে শাসক-বিরোধী কোনও রাজনৈতিক দলের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন – ফের বিক্ষোভ-প্রতিবাদে নাজেহাল পথচারীরা