লোকাল ট্রেনের সিট নিয়ে তুমুল বচসা, এমনকী হাতাহাতি, রক্তারক্তির সাক্ষী নিত্যযাত্রীরা। তা বলে বিমানের সিটে বসা নিয়ে ঝগড়া? তাও আবার হয় না কি? হয়েছে। আর নাম জড়িয়েছে বিজেপির সেই বিতর্কিত সাংসদ প্রজ্ঞা ঠাকুরের। শনিবার, একটি বেসরকারি বিমান সংস্থার বিমানে দিল্লি থেকে ভোপাল ফিরছিলেন ভোপালের সাংসদ। হুইল চেয়ার নিয়েই বিমানে ওঠেন তিনি। আর উঠেই বসে পড়েন একেবারে সামনের সারির জানলার ধারের সিটে। কিন্তু সেই সিটটা আগে থেকেই বেশি টাকা দিয়ে বুক করেছিলেন আরেক যাত্রী। তিনি বসতে চাইলে প্রজ্ঞা ঠাকুরের সঙ্গে বচসা বাধে।
সেই বচসার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে স্যোলাল মিডিয়ায়। ভিডিওতে দেখা যায় যাত্রী বলছেন, তিনি অতিরিক্ত টাকা দিয়ে ওই আসনটি বুক করেছেন। একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে সাধারণ মানুষের সুখ-সুবিধার দেখার দায়িত্ব সাংসদের, আর তিনিই এই ব্যবহার করছেন! এদিকে, বিজেপি সাংসদ দাবি করেন সিটটি তাঁর। বেজায় সমস্যায় পড়েন বিমানকর্মীরা।
এরপর মেজাজ হারিয়ে ওই যাত্রী বলেন, দেশের নেতার এই ব্যবহার, লজ্জা হওয়া উচিত! এই মন্তব্য শুনেই চটে যান প্রজ্ঞাও। ভোপালের সাংসদকে বলতে থাকেন, “সামলে কথা বলুন। ভাষা সংযত করুন।” পালটা জবাব দেন ওই যাত্রীও। এই ঝগড়াঝাটির পরে প্রজ্ঞা ঠাকুরকে অন্য সিটে বসিয়ে বিমান উড়তে ৪৫ মিনিট দেরি হয়।
এদিকে, ভোপাল বিমানবন্দরে নামার পরেই বিমানকর্মীদের বিরুদ্ধে অভব্যতার অভিযোগ করেন বিজেপি সাংসদ। এর জবাব দেয় বিমান সংস্থাও। তারা জানায়, প্রজ্ঞা ঠাকুর নিজের শারীরিক পরিস্থিতির কথা লুকিয়ে বিমানের সিট বুক করেছিলেন। নিজের সিটে না বসে অন্য সিটে বসেন। যাত্রীদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই প্রজ্ঞা ঠাকুরকে তাঁর পছন্দের সিটে বসতে দেওয়া যায়নি। লোকাল ট্রেনে বা বাসে বসার জায়গা নিয়ে বচসা প্রায়ই দেখা যায়। কিন্তু তা বলে বিমানে! তাজ্জব নেটিজেনরা।