লাভপুরে ৩ ভাইয়ের খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত মুকুল রায়কে জেরা বীরভূম পুলিশের

লাভপুরের নবগ্রামে পর পর ৩ ভাইয়ের খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত বিজেপি নেতা মুকুল রায়কে টানা জেরা করেছে বীরভূম পুলিশ।

হাইকোর্টের নির্দেশে লাভপুর, বোলপুর ও শান্তিনিকেতন থানা এলাকায় মুকুল রায়ের ঢোকায় নিষেধাজ্ঞা আছে৷ তাই বুধবার বীরভূম জেলা পুলিশ মুকুল রায়কে ওই তিন থানার বাইরে, বীরভূমের দুবরাজপুর থানায় তলব করে৷ এবং সেখানেই তাঁকে জেরা করেন তদন্তকারী অফিসাররা। প্রায় দু’‌ঘণ্টা চলে এই জেরা-পর্ব৷

প্রসঙ্গত, বালির ঘাটের দখলদারি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলা লড়াইয়ের মীমাংসা করার জন্য ২০১০ সালের ৪ জুন লাভপুরের নবগ্রামে নিজের বাড়িতে মনিরুল ইসলাম সালিশি সভা ডেকেছিলেন বলে অভিযোগ। তখন এই মনিরুল ইসলাম ছিলেন ফরওয়ার্ড ব্লকের স্থানীয় নেতা। সেই সভায় গোলমালের জেরে পিটিয়ে মারা হয় কটুন শেখ, ধানু শেখ ও তারুক শেখ নামে ৩ সহোদর ভাইকে, অভিযোগ ওঠে এমনই৷ ঘটনায় আহত হন আরও ২ ভাই, সানোয়ার শেখ ও আনোয়ার শেখ। তাঁরা’ই মনিরুল ইসলাম–সহ ৫২ জনের বিরুদ্ধে লাভপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

বীরভূমের সাঁইথিয়ায় একটি জনসভায় ‘তিনজনকে পায়ের তলায় পিষে মেরে দিয়েছি’ বলে বিতর্কেও জড়িয়েছিলেন এই মনিরুল। নিহত ৩ ভাইয়ের পরিবার ফের তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়। গত ৪ সেপ্টেম্বর সেই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্টের নির্দেশমতো ফের তদন্ত শুরু করে পুলিশ। ৪ ডিসেম্বর বোলপুর আদালতে চার্জশিট পেশ করে পুলিশ। সেই চার্জশিটেই মনিরুলের সঙ্গে বিজেপি নেতা মুকুল রায়েরও নাম রয়েছে বলে আদালত সূত্রে জানা যায়। ৩০২ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে ২ জনের বিরুদ্ধেই।‌

Previous articleস্টেশন থেকে ফেরিঘাট কিংবা ব্রিজ, হাওড়ায় ধর্মঘটের প্রভাব নেই
Next articleমদনের হাত ধরে রাজপথে নামছে মাউন্টব্যাটেন-উত্তমকুমারদের ঐতিহাসিক বাহন