কোটা, না সেরা দল? দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেটে ফের সাদা-কালোর সংঘাত

দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটে ফের সাদা-কালোর সংঘাত। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্ট জিতে দ্বিতীয় টেস্টের শুরুতেই এই প্রশ্ন সামনে এসে গিয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে দক্ষিণ আফ্রিকা কি কোটা পদ্ধতিতে চলবে, না সেরা দল নামাবে?

৩০ বছর আগে দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবৈষম্যের ইতি হয়। ক্রিকেটের মূলস্রোতে ফিরে আসে ভারতের বিরুদ্ধে কেপলার ওয়েসেলসের দলের টেস্ট খেলার মধ্য দিয়ে। সেসময় অলিখিত নিয়ম ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা দলে অন্তত দুজন কৃষাঙ্গ এবং চারজন মিশ্র বর্ণ এবং ভারতীয় বংশোদ্ভূত ক্রিকেটারকে রাখতে হবে। কিন্তু প্রথম টেস্টে দুজন শ্বেতাঙ্গ ক্রিকেটারের অভিষেক হয়। দ্বিতীয় টেস্টে আর এক শ্বেতাঙ্গের অভিষেক হওয়ার কথা। ফলে কৃষ্ণাঙ্গ ক্রিকেটারের কোটা পূর্ণ হয়নি। তেম্বা বাভুমা চোট পেয়ে বাইরে। অভিষেক হয়নি রাশি ফানের। আবার অ্যান্ডিল ফেলুকোয়ের জায়গায় নেওয়া হয়েছে ডোয়েন প্রেটোরিয়াসকে। প্রশ্ন উঠেছে, সেরা দল নামানো হবে, না কৃষাঙ্গ কোটা পূর্ণ করা হবে। ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, এই কোটার খেলা সামলাতে গিয়ে বারবার সেরা দল নামাতে ব্যর্থ হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এর মাঝে টানা পাঁচ টেস্টে হারের পর ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রোটিওরা জিতেছে প্রথম টেস্ট।

এই মুহূর্তে কার্যত শ্বেতাঙ্গ প্রধান দল হয়ে দাঁড়িয়েছে ডুপ্লেসির দল। শুধু তাই নয়, সাপোর্ট স্টাফ, কোচিং স্টাফও শেতাঙ্গ। মার্ক বাউচার, জাক কালিস, গ্রেম স্মিথকে আনা হয়েছে। ফলও মিলেছে। দ্বিতীয় টেস্টে ওপেনার এডেন মার্করামের পরিবর্তে খেলতে পারেন পিটার মালান। সেই নিয়ে বিতর্ক। প্রথমে পিটারসেনকে নেওয়া হয়েছিল মার্কনামের জায়গায়। পিটারসেন মিশ্র বর্ণের। পাল্টা বাউচার বলেছেন, ওপেনিং জুটি ভাঙা হবে না। ফলে শ্বেতাঙ্গ মালানের অভিষেক হচ্ছেই। অধিনায়ক ফ্যাফ ডুপ্লেসি বলেছেন, আমরা গায়ের রঙ দেখে দল বাছি না। সেরা দলই নামাবো। ফলে কোটা এবং বর্ণবৈষম্যের বিতর্ক কিন্তু থামছে না।

Previous articleআইসিসির চারদিনের টেস্টের প্রস্তাবের কড়া বিরোধিতায় শাস্ত্রী
Next articleসরস্বতী পুজোয় ৪ দিন ছুটি, দু’রকম মতও