প্রাণদণ্ডে দণ্ডিতদের ফাঁসি নিশ্চিত করতে এবার সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র

প্রাণদণ্ডে দণ্ডিতদের প্রাণভিক্ষার আবেদন জানানোর সর্বোচ্চ সময়সীমা বেঁধে দিতে চায় কেন্দ্রীয় সরকার৷ প্রাণদণ্ড মকুব করার আর্জি জানানোর জন্য সর্বোচ্চ 7 দিনের সময় নির্দিষ্ট করতে এবার সর্বোচ্চ আদালতে আবেদন পেশ করেছে কেন্দ্র৷

অপরাধীদের ফাঁসির ক্ষেত্রে অহেতুক কালহরন রুখতে এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল কেন্দ্রীয় সরকার। শীর্ষ আদালতে পেশ করা হলফনামায় কেন্দ্রীয় সরকার বলেছেঃ-

1) প্রাণদণ্ড দণ্ডিতদের ওই শাস্তি মকুব করার আর্জি জানানোর জন্য সর্বোচ্চ 7 দিনের সময় নির্দিষ্ট করতে হবে৷

2) দেশের বর্তমান আইনে ফাঁসির ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের যে গাইডলাইন আছে তা “দোষী- কেন্দ্রিক”৷

3) এই পদ্ধতি পরিবর্তন করে তা “নির্যাতিত কেন্দ্রিক” করতে হবে৷

4) মৃত্যুদণ্ডের ক্ষেত্রে সাজা পুনর্বিবেচনা বা রিভিউ পিটিশন এবং ক্যাভিয়েট পিটিশন দাখিলের ক্ষেত্রেও নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিতে হবে৷

5) পুনর্বিবেচনার আর্জি বা ‘রিভিউ-পিটিশন’ খারিজের পরে দণ্ডিতদের মৃত্যুদণ্ড দ্রুত কার্যকর করতে যাতে কোনও আইনি বাধা না থাকে, তা নিশ্চিত করতে হবে৷

6) বার বার মৃত্যুদণ্ডের তারিখ বদলানো হলে নিগৃহীত বা নিহতের পরিজন যন্ত্রণাবিদ্ধ হয়ে পড়ছেন৷

নিত্যনতুন আইনি জটিলতার জেরে দিল্লির নির্ভয়াকাণ্ডে দোষী 4 জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা যাচ্ছে না। ফাঁসির সাজা এড়াতে একের পর এক আবেদন করছে অপরাধীরা। যার জেরে 22 জানুয়ারি থেকে ফাঁসি পিছিয়ে 1 ফেব্রুয়ারি সকাল 6টায় আপাতত ধার্য হয়েছে। দণ্ডিতদের এই কৌশল ঠেকাতেই এবার শীর্ষ আদালতে পা রাখলো কেন্দ্র৷

আইনজীবীদের একাংশ বলছেন, দিল্লি ভোটের আগে চমক দিতেই নির্ভয়া-মামলাকে ব্যবহার করছে মোদি সরকার৷

Previous articleগান্ধীজীর চশমার ফ্রেম আর সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে প্রশ্ন তুললেন সিপিএমের সেলিম
Next articleদৃষ্টিহীনদের অন্নকূট প্রসাদ ও শীতবস্ত্র বিতরণ বিরাটি হিন্দু মিলন মন্দিরে