কেজরিওয়ালের শপথে মমতা সহ কোনও মুখ্যমন্ত্রীকেই আমন্ত্রণ নয়, জানাল আপ

জল্পনা ছিল। কিন্তু বাস্তবে না কি হতে চলছে অন্যরকম! খবর ছিল, ১৬ তারিখ তৃতীয়বার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কিন্তু আপ সূত্রে খবর, রবিবাসরীয় শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকেই আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে না। খুবই অনাড়ম্বরভাবেই আয়োজন হচ্ছে। ঘনিষ্ট মহলে আপ নেতা কেজরিওয়াল জানান, দিল্লির জনতাই তাঁকে মসনদে বসিয়েছেন। তাঁদের সাক্ষী রেখেই শপথ নিতে চান তিনি।

দিল্লিতে কেজরিওয়ালের জয় নিশ্চিত হতেই তাঁকে শুভেচ্ছা জানান বিজেপি বিরোধী শিবিরের নেতানেত্রীরা। তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও দিল্লি জয়ের জন্য কেজরিওয়ালকে শুভেচ্ছা জানান। টুইট করেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী থেকে শুরু করে সীতারাম ইয়েচুরি। এই পরিস্থিতিতে জল্পনা তৈরি হয়, কেজরিওয়ালের শপথেও তাঁরা আমন্ত্রণ পাবেন। এই তালিকায় ছিল ডিএমকে নেতা স্ট্যালিনের নামও। কিন্তু আম আদমি পার্টির দিল্লি ইউনিটের আহ্বায়ক গোপাল রাই জানান, সাদামাটা ভাবেই হবে শপথ গ্রহণ। সেখানে কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বা নেতাদের আমন্ত্রণ জানানোর কোনও পরিকল্পনা নেই।

১৬ ফেব্রুয়ারি দিল্লির রামলীলা ময়দানে কেজরিওয়াল যখন তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন, তখন সেই মঞ্চে সিএএ-এনআরসি বিরোধী ঐক্যের প্রদর্শনী হবে বলে মনে করেছিল রাজনৈতিক মহল। কিন্তু আপ সূত্রে খবর, এটাই চাইছেন না কেজরিওয়াল। এমনকী, সিএএ-এনআরসি-র বিরোধিতা করে তিনি ক্ষমতায় এসেছেন, এটাও প্রতিপন্ন করতে চাইছেন না তিনি। প্রচারের সময়ও শুধুমাত্র সরকারের উন্নয়নমূলক কাজ ও তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন আপ নেতৃত্ব। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানেও সেই ধারাই বজায় রাখতে চাইছেন কেজরিওয়াল। সেই কারণেই নিজের শপথে কোনও বিরোধী মুখ্যমন্ত্রী বা বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বকেই আমন্ত্রণ জানাবেন না তিনি। রাজনৈতিক মহলের অনুমান, ধর্মীয় মেরুকরণের রাজনীতি থেকে নিজেকে সব দিক থেকেই দূরে রাখতে চাইছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল।

আরও পড়ুন-উত্তর কলকাতায় বিজেপি’র নতুন সভাপতির নাম নিয়ে তুমুল চাঞ্চল্য অন্দরে

Previous article#Coronavirus: জাহাজ থেকে আর্তি, ‘‘বাড়ি ফিরতে চাই’’
Next articleইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী আমন্ত্রণ না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ সুজন