“আমরা ছিলাম থ্রি মাক্সেটিয়ার্স-আমি, প্রসেনজিৎ আর তাপস। তার মধ্যে একটি তারকা চলে গেল”- ভ্রাতৃপ্রতিম তাপস পালের মৃত্যু সংবাদে এই প্রতিক্রিয়াই দিলেন তাঁর সমসাময়িক আরেক অভিনেতা, তাঁর সহকর্মী চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী। ‘এখন বিশ্ববাংলা সংবাদ’-কে তিনি জানান, চন্দননগর থেকে একটি সহজ-সরল বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে এসে, খুব সহজে নিজেকে তৈরি করে নেন। সুপারস্টার হয়ে যায়। তাঁর সহজ, স্বাভাবিক, সরলতা প্রথম ছবি ‘দাদার কীর্তি’-তেই বুঝতে পেরেছিলেন তরুণ মজুমদার। তাপস পালের চলে যাওয়া বাংলা সিনেমা জগতে এক নক্ষত্রের পতন।
অভিনয় ও রাজনীতি- দু জায়গাতেই তাপস ছিলেন চিরঞ্জিতের সহযোদ্ধা। কম বয়সে তাঁর চলে যাওয়ায় চিরঞ্জিৎ শোকস্তব্ধ। ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে তিনি বলেন, “খেতে খুব ভালবাসত তাপস। সেটা ওর কাছে একটা প্যাশন ছিল”। একবার শুটিং করতে গিয়ে কীভাবে চিরঞ্জিৎ ও দেবশ্রী রায়ের সঙ্গে খুব হালকা লাঞ্চ করে ফের বিরিয়ানি খেয়েছিলেন তাপস পাল, তাঁর চলে যাওয়ার দিনে সেই সব কথা মনে পড়ছে চিরঞ্জিতের। জানালেন, কাজে ফিরতে চেয়েছিলেন তাপস। মনে করতেন, কাজে ফিরলেই বোধহয় সেরে উঠবেন, ফিরে পাবেন হারিয়ে যাওয়া কনফিডেন্স। কিন্তু সব চাওয়া তো আর পূর্ণতা লাভ করে না। সেই সব স্মৃতিই আজ চিরঞ্জিতের মনকে ভারাক্রান্ত করছে।