ভোটে কারচুপি ও ভুয়ো ভোটার রুখতে আধার-এপিক সংযোগের ভাবনা কেন্দ্রের

প্রয়োজনীয় সংশোধনী এনে দেশের নির্বাচন কমিশনের হাতে বড় সংস্কারের আইনি ছাড়পত্র তুলে দিতে চায় কেন্দ্রীয় সরকার। এর লক্ষ্য, একজন ভোটারের এপিক বা ভোটার পরিচয়পত্রের সঙ্গে ১২ সংখ্যার আধার নম্বরকে সংযুক্ত করা, যাতে ভুয়ো ভোটার বা অস্তিত্বহীন ভুতুড়ে ভোটারের সমস্যাকে চিরতরে দূর করা যায়। একইসঙ্গে, আধার-এপিক সংযোগ হলে ভোটের সময় বিধানসভা বা লোকসভা কেন্দ্রে অনুপস্থিত থাকা ভোটারও বিকল্প পদ্ধতিতে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন। ভোটের সময় প্রবাসে থাকা সংগঠিত বা অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিক-কর্মচারী, কাজের প্রয়োজনে অন্যত্র থাকা মানুষকে তাহলে আর ভোট দেওয়ার জন্য ফিরতে হবে না, যিনি যেখানে আছেন তিনি সেখান থেকেই নির্দিষ্ট প্রযুক্তিতে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। সবচেয়ে বড় কথা, ভুয়ো ভোটার তালিকা, একই ভোটারের একাধিক জায়গার ভোটার লিস্টে নাম তোলার সম্ভাবনা নির্মূল করা যাবে। ভোটার তালিকা নির্ভুল করতে সহায়ক হবে এই এপিক-আধার সংযোগ। এই কাজের আইনি দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনকেই দিতে চায় কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রক। তাই মঙ্গলবার প্রাথমিক আলোচনার জন্য মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরার উপস্থিতিতে বৈঠক করেছেন কেন্দ্রীয় আইন সচিব সহ আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, নির্বাচন প্রক্রিয়াকে আরও উন্নত ও ত্রুটিমুক্ত করতে কমিশনের দেওয়া প্রায় চল্লিশটি নানা ধরনের নির্বাচনী সংস্কারের বাস্তবতা পরীক্ষা করছে আইন মন্ত্রক। তবে আধার-এপিক সংযোগ চালু হলে গরিব শ্রমজীবী মানুষের বিরাট উপকার হবে বলে আশা নির্বাচন কমিশনের। কমিশনের দেওয়া প্রযুক্তি ব্যবহার করে বহু দূরে বসেও ভোটাধিকার প্রয়োগ করা যাবে।

আরও পড়ুন-নির্বিঘ্নেই চলছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভোটগ্রহণ

Previous articleতাপস পালকে শেষশ্রদ্ধা মুখ্যমন্ত্রীর, দেহ শায়িত রবীন্দ্রসদনে
Next articleশুভ্রার জেরার পরের দিনই মনোজ কুমারকে জিজ্ঞাসাবাদ