এ দেশে আক্রান্ত হতে পারেন ১৩ লক্ষ, আশঙ্কা ‘হু’-র

করোনা নিয়ে আশঙ্কার বার্তা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘হু’-র। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, ভারতের মতো জনঘনত্বের দেশে ১০ থেকে ১৩ লক্ষ মানুষের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যদিও ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চের মতে, পারস্পরিক ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখলে দেশে ভাইরাস সংক্রমণ ৬২ শতাংশ পর্যন্ত কমানো সম্ভব। কিন্তু ‘হু’-র বিশেষজ্ঞদের মতে, সরকার স্বীকার না করলেও, এদেশে গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়ে গিয়েছে। অর্থাৎ সংক্রমণের উৎস বোঝা যাচ্ছে না।

করোনা ঠেকানোর এক এবং মাত্র উপায় হল যে পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখা। এ বিষয়ে সব দেশের বিশেষজ্ঞদেরই একমত। তবে, করোনাভাইরাস সমগোত্রীয় সার্স বা মার্স-এর থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী বলে মত তাঁদের। আইসিএমআরের রিপোর্ট অনুযায়ী, এক জন করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি গড়ে দেড় জনকে সংক্রমিত করতে পারেন। কিন্তু রোগের স্টেজ অনুযায়ী, তিনিই গড়ে ৪.৯ জনকে সংক্রমিত করতে পারেন। সেই কারণেই পারস্পরিক দূরত্বের উপরে জোর দিয়ে তিন সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
যেহেতু ওই রোগের উৎস চিন, তাই কারণে মূলত বিদেশ থেকে আসা বিমানযাত্রীদের মাধ্যমে এ দেশে কতটা সংক্রমণ ছড়াতে পারে, তার উপরেই সমীক্ষা চালায় আইসিএমআর। রিপোর্ট অনুযায়ী, আক্রান্তদের পাশাপাশি যাঁদের উপসর্গ দেখা দিয়েছে, তাঁদেরও গৃহবন্দি রাখা গেলে ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৬২ শতাংশ কমবে।
তবে, গোষ্ঠী-সংক্রমণের পর্যায়ে যাওয়ার আগে ওই পদক্ষেপ করতে হবে। না হলে দেশে কার্যত মৃত্যু-মিছিল শুরু হবে আশঙ্কা হু-র বিশেষজ্ঞদের। সমস্যা হল, ৮০ শতাংশ সংক্রমিত ব্যক্তির শরীরে প্রথমে উপসর্গ দেখা যায় না। সুস্থ আছেন ভেবে তিনি বাকিদের সংক্রমিত করতে থাকেন। তাই এই ভাইরাস রোখার একমাত্র রাস্তা হল গৃহবন্দি থাকা।
তবে, রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রথম পর্যায়ে আমেরিকা বা ইটালির চেয়ে ভাল ভাবে পরিস্থিতি সামলাচ্ছে ভারত।

Previous articleফান্দে পরিয়া কান্দে চিন!
Next articleলকডাউন-বিধি ভাঙলেই জেল- জরিমানা, আরও কঠোর প্রশাসন