ভোজন রসিক, মিষ্টান্ন প্রিয় বাঙালির বেশ কঠিন অবস্থা। খাবার সংগ্রহ করতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। যা পাওয়া যাচ্ছে তা দিয়ে সংযতভাবে উদরপূর্তি করতে হচ্ছে। তার উপর বন্ধ মিষ্টির দোকান। এহেন পরিস্থিতিতে সোমবার আশার কথা শুনিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুপুরে চার ঘণ্টা মিষ্টির দোকান খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। আর এই নির্দেশ পাওয়ার পর মঙ্গলবার বেলা বারোটা বাজতে না বাজতেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় মিষ্টির দোকানের সামনে জড়ো হন ক্রেতারা।
হুগলির চন্দননগর চুঁচুড়া কোন্নগর সহ বিভিন্ন জায়গার মিষ্টির দোকানে পছন্দের সন্দেশ, রসগোল্লা, দই কেনার জন্য লম্বা লাইন নজরে পড়ে।
একই চিত্র উত্তর ২৪ পরগনায়। সোদপুর থেকে বারাসত সব জায়গাতেই ক্রেতারা বারোটা বাজতে না বাজতেই হাজির হন। বিকিকিনির চিত্রটা দেখে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীদের। আশায় বুক বেঁধেছেন দুধ ব্যবসায়ীরাও। কিন্তু এই ভিড় বিপদ ডেকে আনবে কি না এই কথাই এখন ভাবাচ্ছে বিশেষজ্ঞদের।