কিছু বন্দির মুক্তি নিয়ে জটিলতা, কিছু নাম সুপারিশ-তালিকা থেকে বাদ পড়বে

করোনা আপডেট :২ এপ্রিল, বেলা ১১টা। বিশ্ব : আক্রান্ত ৯,১২,৯৮৯, মৃত ৪৫,৫৫১। দেশ : আক্রান্ত ১৮০৪, মৃত ৪৫। রাজ্য : আক্রান্ত ৪১, মৃত ৪।

রাজ্যের বিভিন্ন সংশোধনাগার থেকে বুধবার পর্যন্ত প্রায় ৮০০-র বেশি বন্দি ছাড়া পেয়েছেন।করোনা- সংক্রমণ যাতে বিস্তার লাভ করতে না পারে সেজন্য সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সংশোধনাগারগুলিতে বন্দি-ভিড় কমাতে উদ্যোগী হয় রাজ্য সরকার। হাইকোর্ট গঠিত হাই-পাওয়ার কমিটি বিচারাধীন ও সাজাপ্রাপ্ত মিলিয়ে ৩ হাজারের বেশি বন্দির ‘মুক্তি’র জন্য সুপারিশও করে দিয়েছে।

তবে এই তালিকায় থাকা কিছু বন্দি নিয়ে নতুন সমস্যা দেখা দিয়েছে৷ তালিকায় অন্যদের সঙ্গেই আছেন বিদেশি, ভিন রাজ্যের বা জালনোট পাচার, রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় অভিযুক্ত বা সাজাপ্রাপ্তদেরও নামও৷ অথচ এদের এখন ছাড়া পাওয়ার কথা নয়।

নাইজেরিয়ার এরিক এনিইম্বা এওয়া, আফগানিস্তানের রহমান খান, রাশিয়ার সেরগেই ডেমিন। এরা কেউ সাইবার অপরাধে, কেউ বা বিদেশি আইনে, আবার কেউ জালিয়াতির মামলায় প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে বন্দি। কমিটি যে বন্দিদের প্যারোল বা অন্তর্বর্তী জামিনে মুক্তির জন্য সুপারিশ করেছে, তাঁদের মধ্যে আরও বেশ কয়েক জন বিদেশি বন্দির নাম রয়েছে। সমস্যা তৈরি হয়েছে এখানেই৷ প্যারোলে ওই বন্দিরা ছাড়া পেলে লকডাউনের সময় কোথায় থাকবেন, কী ভাবেই বা থাকবেন, কী খাবেন, কীভাবে এদের উপর নজর রাখা হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কারা দপ্তর সূত্রে জানিয়েছে, বিদেশি বন্দিদের সংশোধনাগার থেকে ছাড়ার কথা নয়। ওই বন্দিদের নাম স্বাভাবিক ভাবেই ‘মুক্তি’র সুপারিশের তালিকা থেকে বাদ যাবে।

শুধু বিদেশি নন, ভিন রাজ্যের কোনও বন্দি কোনও মামলায় বিচারাধীন বা সাজাপ্রাপ্ত হলে তাঁরও এখন ছাড়া পাওয়ার কথা নয়। কারণ, করোনা সতর্কতার জেরে দেশজুড়ে লকডাউন চলছে। তাতে ওই বন্দিদের ভিন রাজ্যে তাঁদের বাড়িতে পাঠাতে গেলেও সমস্যা হবে।

জালনোট পাচার, রাষ্ট্রদ্রোহ এই ধরনের গুরুতর মামলায় অভিযুক্ত বা সাজাপ্রাপ্তদেরও ছাড়া পাওয়ার কথা নয়। কিন্তু এই ধরনের মামলায় অভিযুক্ত বেশ কয়েক জনের নামও ছাড়া পাওয়ার সুপারিশের তালিকায় রয়েছে। এ ধরনের বন্দিদের নাম বাদ যাবে বলে সংশোধনাগার সূত্রে জানা গিয়েছে। কারা দপ্তর সূত্রের খবর, সব মিলিয়ে ওই প্রাথমিক তালিকা থেকে ১০০ জনের বেশি বন্দির নাম বাদ যেতে পারে।

সাধারণ ভাবে যে বন্দিরা ‘মুক্তি’র পাচ্ছেন, তাঁদের বাড়ি ফেরার জন্য সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশ-প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সংশোধনাগার থেকে তাঁদের ছাড়ার সময়ে শরীরে কোনও উপসর্গ বা সংক্রমণের লক্ষণ আছে কি না, সেটা চিকিৎসকরা খুঁটিয়ে পরীক্ষা করে দেখছেন।
বার বার যাচাই করে তবেই তাঁদের ছাড়া হচ্ছে।

Previous articleআটকে পড়া ভিনরাজ্যের পড়ুয়াদের পাশে বারাসত থানা
Next articleপাইপলাইনে সামাজিক দূরত্ব