এক সিইএসসি কর্মীর বক্তব্য

প্রতীকী ছবি

প্রাক্তন বিধায়ক কণিকা গাঙ্গুলির পোস্ট থেকে-

বিদ্যুতের জন্যে অনেক পোস্ট করেছি। এবার সিইএসসি কর্মীদের অসহয়তার কথা শুনুন।

(একজন CESC কর্মীর কাছ থেকে সংগৃহীত )

আজ ভয়ংকর সংকটের মুখে বিদুৎ কর্মীরা। #CESC ম্যানেজমেন্টের অদূরদর্শিতার ফলে এখনো পর্যন্ত ৪৮ ঘন্টা অতিক্রান্ত হয়ে যাওয়ার পরেও, মেইন্স বিভাগে সমস্ত জায়গায় ১০০ শতাংশ কর্মচারীদের নিয়োগ করতে পারলো না।এখনো পর্যন্ত পাওয়া খবর, আজ হাওড়ায় ২ টি সেট, শ্রীরামপুরে ৫ টি, কামারহাটি অফিসে ৬টি, কালিন্দী তে ৩ টি, যাদবপুরে ২ টি। অর্থাৎ কোথাও ৫০ শতাংশ বেশী সেট কাজ করানোর জন্যে নামানো হয়নি। যারা কাজে নামছে, তাদের কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণ কাজ করার সামগ্রী নেই, খাওয়া নেই, বিশ্রাম নেই, এইভাবেই ২৪ ঘন্টা,৪৮ ঘন্টা কাজ করছেন তারা। এতক্ষণ সময় অতিক্রান্ত হয়ে যাওয়ার ফলে সাধারণ মানুষ ধৈর্য হারাচ্ছেন। কাল হাওড়া অফিসে তৃণমূল কাউন্সিলের হাতে আমাদের সহকর্মী নিগৃহীত হয়েছেন।

CESC’র সব জায়গায় অফিস ঘেরাও হচ্ছে, অকথ্য গালিগালাজ, আটকে রাখা হচ্ছে।প্রতিনিয়ত অবস্থা খারাপ হচ্ছে।

কিন্তু এমনটা হওয়ার কথা ছিলো না। আমাদের পূর্ব অভিজ্ঞতায় থেকে, আমাদের ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক তরুণ ভরদ্বাজ আগাম চিঠি দিয়ে ম্যানেজমেন্টকে এর প্রস্তুতি নিতে অনুরোধ করেছিলেন। কি কি করা দরকার তার কথা বলা হয়েছিলো। মৌখিক ভাবে প্রতিনিয়ত কথা বলা হচ্ছে সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে। শেষকথা, সাধারণ মানুষের বিদ্যুৎ পরিষেবা তাড়াতাড়ি দেওয়ার জন্যে সমস্ত ব্যাবস্থা নিতে হবে সাথে আমাদের সহকর্মীদের নিরাপত্তার ব্যাবস্থা করতে হবে, সুস্থ পরিবেশ তৈরির দায়িত্ব ম্যানেজমেন্ট কে নিতে হবে।

 

Previous articleসোশ্যাল মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন দিয়ে কলেজ স্ট্রিটের ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য ত্রাণ সংগ্রহ
Next articleফোনে এপার বাংলার খোঁজ নিলেন হাসিনা, মমতা জানতে চাইলেন ওপার বাংলার পরিস্থিতি