বাংলায় পুঁজি নেই কেন? প্রশ্ন তুলে আন্দোলনের ডাক টেকনো ইন্ডিয়ার সিইওর

বাংলায় পুঁজি আসছে না কেন? প্রশ্ন তুললেন টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপের সিইও। একটি ফেসবুক পোস্টে তিনি বিষয়টি উত্থাপন করে গণ আন্দোলনেরও ডাক দিয়েছেন।

সিইও-র ফেসবুক পোস্ট থেকে জানা গিয়েছে, মূলত বিদেশেই তাঁর কর্মকাণ্ড। ২৫টির বেশি দেশে কাজ করেছেন এবং তাঁর ইচ্ছা ছিল কর্মজীবন থেকে অবসর নেবেন কোনও একটি বাঙালি প্রতিষ্ঠান থেকেই। তাই কলকাতার স্থায়ী বাসিন্দা হয়ে আপাতত টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপের দায়িত্বে। সেই কথা বলতে গিয়ে তিনি বলছেন, বাঙালি শিল্পপতি তৈরি হচ্ছে না বাংলায়। বাংলায় পুঁজির অভাব। এ নিয়ে আন্দোলনও হয় না। তাই টেকনো ইন্ডিয়ার সিইও শঙ্কু বোস পুঁজি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলিকে আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। উল্লেখ্য, ‘আজকাল’ সংবাদপত্র এখন টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপের অধীন। আজকাল-এর নবগঠিত যে ৭ সদস্যের পরিচালন কমিটি রয়েছে, তিনি তার সদস্য।

ফেসবুক পোস্টে যা লিখেছেন সিইও…

“আজকের পোস্ট বাংলায় লিখবো. আজ প্রায় ৫ মাস হলো কলকাতায় পাকাপাকি ভাবে থাকতে শুরু করেছি. জীবনে প্রায় ১০০ এর অধিক দেশে ঘোড়া এবং ২৫ এর অধিক দেশে কাজ করার পার ভীষণ ইচ্ছে ছিল একটি বাঙালি প্রতিষ্ঠানে শেষ চাকরি করবো এবং পশ্চিম বাঙ্গেই অবসর নেবো. সেই মতন বিগত অনেক দিন ধরে খুজছিলাম একটি বাঙালি প্ৰতিষ্ঠান যেখানে আমি আমার জোগ্যতা অনুজাই একটি কাজ করতে পারি. খুজ খুজতে প্রায় বাংলাদেশ পৌঁছে গেছিলাম কারণ বাঙালি পুঁজিপতি আর পশ্চিম বঙ্গে তে তো আর তৈরি হয় নি বিগত পঞ্চাশ বছরে দুই একজন কে ছেড়ে দিলে এরই মধ্যে খুঁজে পাওয়া গেলো টেক্নো ইন্ডিয়া গ্রুপ এর প্রধান শ্রী সত্যম চৌধুরী মহাসই এবং সে আমার সেই ইচ্ছে টা রেখেছে. আমি এখন তার কোম্পানি চিফ এক্সেকিউটিভ অফিসার হয়ে কাজ করছি. তাই আমার সবার কাছে একটাই নিবেদন পশ্চিম বাংলা অনেক কিছু নিয়ে আন্দোলন করে যাচ্ছে কিন্তু আসল কথা পুঁজি নিয়ে কোনো আন্দোলন নাই. তাই বালি সব রাজনৈতিক দল কে বাঙালি পুঁজিপতি বানান এবং তাদের পাশে থাকুন তবেই রাজ্য টার উন্নতি হবে. পুঁজি থাকলে বাকি সব আপনার সাথে চলে আসবে. আপনাদের মতামত জানতে পারলে বুজতে পারব আমার চিন্তা সঠিক না ভুল.”

Previous articleকোন কোন খাতে টাকা দিচ্ছে রাজ্য সরকার?
Next article৩০ কোটি টাকা ও ফ্ল্যাট দাবি করলেন নওয়াজের স্ত্রী