সূর্যেরও আছে দরদী মন! হদিশ দিলেন মেদিনীপুরের সঞ্চিতা

সূর্যেরও একটা দরদী মন আছে। অবাক লাগলেও তা সত্যি। এই মনের হদিশ পেলেন মেদিনীপুর শহরের মেয়ে সঞ্চিতা। কখন সে ভয়ংকর হামলা চালাবে তা কেউ জানে না। কিন্তু সেই হামলার পরে যাতে আমরা শেষ না হয়ে যায় তার ব্যবস্থা করে সূর্য।

সঞ্চিতা দেখালেন, ঠিক কোন সময় সূর্যের তেজ থাকে সব থেকে বেশি। আর সেই সময় আমাদের বাঁচানোর জন্য তৎপর হয়ে ওঠে সূর্য নিজেই। সঞ্চিতার এই গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান জার্নাল জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটার্স। এই জার্নালের মূল লেখক ইনস্টিটিউট অফ সাইন্স এডুকেশন এন্ড রিসার্চ এর ছাত্রী সঞ্চিতা পাল। তাঁর সহযোগী গবেষকদের মধ্যে রয়েছেন, সৌম্য রঞ্জন দাস ও সৌর পদার্থবিজ্ঞানী দিব্যেন্দু নন্দী।

সৌর ঝড় বায়ুমণ্ডলের পক্ষে অত্যন্ত বিপদজনক। এর প্রভাবে বিচ্ছিন্ন হতে পারে টেলিযোগাযোগ থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ ব্যবস্থা। এমনকী নষ্ট হতে পারে কৃত্রিম উপগ্রহ। কিন্তু সঞ্চিতারা দেখালেন এমন এক পথ যেখানে সব একবারে শেষ হয়ে যায় না। সঞ্চিতা জানান, সূর্যের তেজ বাড়ে কমে সৌর চক্রের উপর। সৌর চক্র প্রতি ১১ বছরে হয়। কখনও তা ১৩ বা ১৪ বছর হয়। যার ফলে সূর্যের পিঠে তৈরি হয় সৌর কলঙ্ক। সৌর কলঙ্ক বাড়তে থাকলে শক্তি বাড়ে সৌর চক্রের। ৩০০ বা তার বেশি সৌর কলঙ্কে হলে সৌর চক্র অতি শক্তিশালী হয়। ২৫০ হলে হয় মাঝারি শক্তির সৌর চক্র। সঞ্চিতারা তাঁদের আবিষ্কারে দেখিয়েছেন,
সৌর চক্র যত বেশি শক্তিশালী হয়, সৌর ঝড়ের ভয়ঙ্কর আকার ততটাই কমিয়ে রাখে সূর্য।

সঞ্চিতা জানান, সৌর কলঙ্কে জন্মের পর থেকেই সূর্য থেকে বেরিয়ে আসে সৌর বায়ু, সৌর ঝড়, সৌর ঝলক, করোনাল মাস ইজেকশন। এরমধ্যে করোনাল মাস ইজেকশন সবথেকে বেশি ভয়ংকর। যার পূর্বাভাস কখনই করা যায় না। সূর্য থেকে সৌর বায়ু পৃথিবীর সহ সৌরমন্ডলে ছড়িয়ে পড়ার সময়ে করোনাল মাস ইজেকশন তথ্য সিএমই এসে পড়ে তার মধ্যে। সিএমই এবং সৌর বায়ু চৌম্বক ক্ষেত্রের মেরু ভিন্নমুখী হলে শক্তি ক্ষয় হয়ে যায়। ফলে সিএমই যতটা আঘাত করার কথা ছিল ততটা পারে না।

Previous articleকেরলে গর্ভবতী হাতি -খুন কান্ডে ৩ সন্দেহভাজন চিহ্নিত, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী
Next articleক্যাপ্টেনকে ফেরালেন প্রশান্ত কিশোর, কেন জানেন?